করোনাভাইরাসে লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন এলাকা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং খুলে দেয়া হচ্ছে। প্রায় সাড়ে তিন মাস নির্জন ছিল এই পাহাড়ের শহর।
Advertisement
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বৈঠকে বসে হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটার্স, ট্র্যাভেল অপারেটার্স, বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে। সেখানেই ঠিক হয় পয়লা জুলাই থেকে খুলছে পাহাড়। অতিথিদের বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তবে সব কিছুই হবে রাজ্য ও কেন্দ্রের কোভিড প্রোটোকল মেনে। মাস্ক পরা যেমন বাধ্যতামূলক প্রতিটি পর্যটকেরই, তেমনই হোটেলগুলোতেও থাকবে স্যানিটাইজারের ব্যবহার। একটি রুম পর্যটকেরা ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা ওই রুমে দ্বিতীয় কোনও পর্যটকের জন্যে বুকিং নেয়া যাবে না। ওই সময়ে স্যানিটাইজ করা হবে রুমে। গাড়িতেও অর্ধেকের বেশি পর্যটক নয়। অর্থাৎ গাদাগাদি করে নয়। প্রতিদিনই প্রতিটি হোটেল স্যানিটাইজ করা হবে। ধাপে ধাপে খুলবে পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
১ জুলাই থেকে খুলছে টাইগার হিল, রক গার্ডেন, গঙ্গামায়া পার্ক। প্রতিটি কেন্দ্রেই পর্যটকদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও মানা হবে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং। নজরদারি চালাবে প্রশাসন। এমনিতেই ভরা বর্ষায় পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকবে। তবুও পর্যটন শিল্পে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যেই জুলাই মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বড় টিম বুকিং আপাতত নয়। যেমন শিক্ষামূলক ভ্রমণ নয়। জিটিএ'র পর্যটন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর সুরজ শর্মা জানান, লকডাউনে ঘরবন্দি থাকার পর মানুষরাও ঘুরতে চাইছেন। পাহাড়ের পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতেই জুলাইয়ে খুলে দেয়া হচ্ছে। শুধু হোটেলই নয়। খুলবে হোম স্টে গুলোও। তবে পাহাড়ে ঢোকার আগে একাধিক জায়গায় থাকবে থার্মাল চেকিং ক্যাম্প। সমতলের শিমূলবাড়ি, কালিম্পংয়ের কালিঝোরা, বাংলা-সিকিম সীমান্ত রংপোতে থার্মাল স্ক্রিনিং ক্যাম্প থাকবে। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল এবং হোম স্টে'তেও একই ব্যবস্থা থাকবে। সেইসঙ্গে পর্যটকদের ফিট সার্টিফিকেট লাগবে।
Advertisement
জেডএ/এএ/পিআর