লাইফস্টাইল

শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের শিকার হলে যা করবেন

পৃথিবীজুড়ে অস্থিরতা। করোনাভাইরাসের কারণে কোনোকিছুই আর আগের মতো নেই। বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে থাকার কারণে বেড়েছে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের ঘটনা। অনেকেই আছেন যারা নির্যাতনের শিকার হয়েও মুখ বুজে সহ্য করে যান। আবার অনেক সময় অত্যাচার শুধু শারীরিক নয়, মানসিকও হয়। অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক বা মানসিক অত্যাচারের শিকার হওয়া সত্ত্বেও মেয়েরা সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন না নানা কারণে, ভেতরে ভেতরে নিজেরাই দগ্ধ হন।

Advertisement

সম্পর্ক যেমনই হোক, শারীরিক বা মানসিক কোনো অত্যাচারই মেনে নেয়া উচিত নয়। একথা সত্যি যে অবস্থার চাপে সব মেয়ে সম্পর্ক চুকিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন না। কিন্তু মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করবেন না। অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

অনেক মেয়েই অশান্তির ভয়ে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করেন। কিন্তু এতে উল্টোদিকের মানুষটি সাহস পেয়ে যান। একই অপরাধ তিনি বারবার করতে থাকেন, ব্যাপারটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। তাই চুপ করে থাকবেন না, নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন। প্রতিবাদ করুন, অত্যাচার মাত্রা ছাড়ালে পুলিশকে জানাতে দ্বিধা করবেন না।

শারীরিক অত্যাচার যতটা খারাপ, মানসিক অত্যাচার তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ভয় দেখানো, জনসমক্ষে অপমানসূচক কথা বলা, স্বাধীন সত্তা নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া, এসবই মানসিক অত্যাচারের উদাহরণ। দিনের পর দিন এই পরিস্থিতির শিকার হলে মেয়েরা ক্রনিক ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, অস্বস্তি, ভয়ের শিকার হয়ে পড়েন। তাদের মানসিক অস্তিত্বটাই টলমলে হয়ে যায়। এমনটা হতে দেবেন না, নিজের অধিকার আর সম্মান সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

Advertisement

একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক মেয়েই অত্যাচারী স্বামীকে সহ্য করে সম্পর্কটায় থেকে যান। কিন্তু মনে রাখবেন, খেয়াল রাখা, যত্ন করার মতো মানুষ না থাকলেও আপনার জীবনে শান্তির প্রয়োজন রয়েছে। কাজেই অত্যাচার সহ্য করবেন না, দরকারে অন্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের সাহায্য নিন।

যারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারের শিকার, তারা মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু তা করলে চলবে না। মনে রাখবেন সব মানুষ একরকম নয়। তাই মানুষের ওপর আর নিজের ওপর, দুটি ক্ষেত্রেই বিশ্বাস ধরে রাখুন।

ফেমিনা/এইচএন/পিআর

Advertisement