সময়টা এমন যে, বাড়ি থেকে বের হওয়া মানেই বিড়ম্বনা। তাই যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলো ছুটে যাওয়ারও উপায় কম। সেখানে চিকিৎকের দেখা পাওয়াও মুশকিল। শুধু তো করোনাভাইরাস নয়, আরও অনেকরকম অসুখ-বিসুখ কিংবা ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।
Advertisement
জটিল কিছু না হলে নিজেকেই কিছু না কিছু সমাধান করতে হবে। তাই আপৎকালীন অবস্থায় কী ভাবে সামাল দেবেন, সে ধারণা থাকা জরুরি। হাতের কাছে মজুত রাখতে হবে এমন কিছু ওষুধ ও জিনিসপত্র যা প্রয়োজনের সময় কাজে আসবে।
বরফ: পোড়া, ছ্যাঁকা এ সব সামলানো তো বটেই, কোথাও আঘাত লাগার সময়ও খুব কাজে আসবে বরফ। তাই ফ্রিজে যেন পর্যাপ্ত বরফ থাকে। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানি লাগানোর পরেই বরফ ঘষতে থাকুন আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায়। কোথাও আঘাত লাগলেও একই নিয়মে বরফ দিতে থাকুন। এতেই ব্যথা-পোড়া অনেকটা সারে। অনেক সময় বরফ ঘষার ফলে ফোসকাও পড়ে না।
হট ও কোল্ডব্যাগ: যেকোনো ব্যথা-বেদনায় অনেক সময়ই ঠান্ডা-গরম সেঁক নিতে হয়। তখন এই ব্যাগগুলো কাজে লাগে। পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে বরফ ঘষার পর খানিক ব্যথা কমতে আরম্ভ করলে গরম আর ঠান্ডা সেঁক দিলে ব্যথা আরও অনেকটা কমে। ব্যথার ওষুধ খাওয়ার চেয়ে এই পদ্ধতি শরীরের জন্যও ভালো।
Advertisement
টুর্নিকেট ও গজ-তুলো: কাটা-ছড়ার সমস্যায় টুর্নিকেট বেঁধে নিন ক্ষতস্থানে। টুর্নিকেট না পেলে পরিষ্কার কাচা সুতির কাপড় কাটা জায়গায় বাঁধলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে।
অ্যান্টিসেপটিক ও পোড়ার ওষুধ: জীবাণুনাশক সলিউশন ও অ্যান্টিসেপটিক কিছু ক্রিম কিনে রাখুন। পোড়া-কাটার মলম হাতের কাছে থাকলে প্রাথমিক শুশ্রূষার পর তা লাগিয়ে নিন ক্ষতস্থানে। এতে প্রাথমিক বিপদ অনেকটা কাটবে।
ওষুধ: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্যাস্ট্রিক, বমি বা পেটের সমস্যার কিছু ওষুধ হাতের কাছে মজুত রাখুন। তবে অবশ্যই প্রাথমিক ওষুধে না কমলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। বয়স্ক ও শিশুদের ওষুধ দেয়ার আগেও ফোনে কথা বলে নেবেন চিকিৎসকের সঙ্গে।
আনন্দবাজার/এইচএন/এমএস
Advertisement