ধর্ম

কালিমার গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত

আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে সৃষ্টির পর যুগে যুগে সত্যদ্বীনসহ নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তারা মানুষের কাছে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরেছেন। যারা এ দ্বীন গ্রহণ করেছেন, তারা মুক্তিপ্রাপ্ত দল। আর যারা প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা জাহান্নামী। আল্লাহকে মানার বা বিশ্বাস করার মূলমন্ত্রই হচ্ছে এ কালিমা স্বীকৃতি। ঈমানদারের ওপর আল্লাহর বড় রহমত হচ্ছে, কালিমার স্বীকৃতি দেয়া। এ কালিমার স্বীকৃতি পারে একজন মানুষকে আখিরাতে মুক্তি দিতে। জাগো নিউজে এ সম্পর্কিত একটি হাদিস তুলে ধরা হলো-হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, `কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে সবার সামনে নাজাত দিবেন, তার সামনে নিরানব্বইটি দফতর খোলা হবে, প্রত্যেক দফতর চোখের দৃষ্টি পরিমাণ লম্বা।অতঃপর তিনি বলবেন, তুমি এর কিছু অস্বীকার করো? আমার সংরক্ষণকারী লেখকরা তোমার ওপর জুলুম করেছে? সে বলবে, না, হে আমার রব! তিনি বলবেন, তোমার কোনো অজুহাত আছে? সে বলবে, না, হে আমার রব! তিনি বলবেন, নিশ্চয় আমার নিকট তোমার একটি নেকি রয়েছে, আজ তোমার ওপর কোনো জুলুম নেই।অতঃপর একটি বেতাকা/কার্ড বের হবে, যাতে রয়েছে- أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।তিনি বলবেন, তোমার (কাজের /আমলের) ওজন প্রত্যক্ষ করো। সে বলবে, হে আমার রব! এতোগুলো দফতরের সঙ্গে মাত্র একটি কার্ড কি (কাজে আসবে)? তিনি বলবেন, নিশ্চয় তোমার ওপর জুলুম করা হবে না। তিনি বলেন, অতঃপর সবগুলো দফতর এক পাল্লায় ও কার্ডটি অপর পাল্লায় রাখা হবে, ফলে সব দফতর ওপরে উঠে যাবে ও কার্ডটির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহর নামের বিপরীতে কোনো জিনিস ভারী হবে না। (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)পরিশেষে...যেদিন আল্লাহর রহমত ছাড়া বান্দার কোনো উপায় থাকবে না। সেদিন কালেমায় বিশ্বাসী ব্যক্তি এ কালিমার ফজিলতে আল্লাহর রহমত লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আল্লাহর বিধানাবলী পালনের পাশাপাশি কালিমা শাহাদাতের আমল করার এবং ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/বিএ

Advertisement