দেশের জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি ইতিমধ্যে জনপ্রতি সাদকাতুল ফিতর নির্ধারণ করেছে। পাঁচ খাদ্যসামগ্রীর ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা হারে আদায় করা যাবে এ ফিতরা। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারিত পণ্যের মূল্য পরিশোধে ফিতরা আদায় করা যাবে।
Advertisement
যেসব সামগ্রী দিয়ে ফিতরা দেয়া হয়, অঞ্চলভেদে সে সব জিনিসের দাম নির্ণয়ের সঠিক তথ্য গ্রহণ করেই নির্ধারণ করা হয়েছে এবারের ফিতরার খাদ্যসামগ্রীর মূল্য।
পাঁচ খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা যায়। যারা যে জিনিস দিয়ে ফেতরা দিতে ইচ্ছুক, সেসব জিনিসের মূল্য পরিশোধে ওই জিনিসের ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তাহলো- গম বা আটা, যব, খেজুর, কিসমিস, পনির।
সাদকাতুল ফিতরের পাঁচ দ্রব্যসামগ্রীর পরিমাণ ও মূল্য তালিকা-- গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আটা বা গমের ক্ষেত্রে অর্ধ সা’। যার সমপরিমাণ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। এর বাজার মূল্যে ৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
Advertisement
- যব দিয়ে ফিতরাযবের ক্ষেত্রে এক সা’। যার পরিমাণ ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য ২৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
- কিসমিস দিয়ে ফিতরাকিসমিসের ক্ষেত্রেও এক সা’। যার পরিমাণ ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। এ পরিমাণ কিসমিসের বাজার মূল্য ১ হাজার ৫০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
- খেজুর দিয়ে ফিতরাখেজুরের ক্ষেত্রে ১ সা’ ফিতরা দিতে হবে। যার পরিমাণ ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। মোটামুটি মানসম্পন্ন এ পরিমাণ খেজুরের বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
- পনির দিয়ে ফিতরাপনিরের ক্ষেত্রেও ১ সা’ ফিতরা দিতে হবে। যার পরিমাণ ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। পনিরের বাজার মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।
Advertisement
সুতরাং যারা সাদকায়ে ফিতরা আদায় করবেন তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যে যা দিয়ে সাদকায়ে ফিতর আদায় করতে চান, তারা জনপ্রতি ওই জিনিসের মূল্য পরিশোধ করে সাদকায়ে ফিতর আদায় করবেন। সামর্থ্যবানদের যথাযথ সামগ্রী দিয়ে সাদকায়ে ফিতরা আদায় করা উত্তম।
উল্লেখ্য, হাদিসের বর্ণনায় এ পাঁচ ধরনের খাদ্যসামগ্রীর বর্ণনা পাওয়া যায়। সুতরাং যারা যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির দিয়ে সাদকায়ে ফিতরা আদায় করতে চান, তারা ১ সা হিসেবে ফিতরা দেবেন। আর যারা গম বা আটা দিয়ে সাদকায়ে ফিতরা আদায় করবেন, তারা আধা সা’ হিসেবে ফিতরা দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সামর্থ্য অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রীর মূল্য দিয়ে সাদকায়ে ফিতর আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম