বাউল সম্রাট লালন শাহের ১২৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে ১৭ অক্টোবর থেকে কুষ্টিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ৫দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব। সময় পেলে আপনারা ঘুরে আসতে পারেন লালনের আখড়া থেকে।আখড়ার অবস্থানসাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে খ্যাত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া নামক স্থানে লালনের আখড়ার অবস্থান।স্মরণোৎসব এ সময়ে লালন শাহের মাজারের প্রধান আকর্ষণ লালন স্মরণোৎসব। লালনের তিরোধান দিবস উপলক্ষে আখড়াবাড়ির মূল আঙিনা, কালী নদীর তীরে সাঁইজির মাজার এলাকায় ভজন-সাধনের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় কাটান লালন ভক্তরা। হাতে একতারা, ডুগি, তবলা, হারমোনিয়াম, বাঁশি, ঢোল, খঞ্জনি নিয়ে দিন-রাত গলা ছেড়ে গাইতে থাকেন আধ্যাত্মিক গান। কীভাবে যাবেনঢাকার গাবতলী কিংবা টেকনিক্যাল মোড় থেকে এসবি, শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ, খালেক পরিবহনের বাস বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া সরাসরি চলাচল করে। এছাড়াও ঢাকা-কুমারখালী সরাসরি অনেক বাস চলাচল করে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সুন্দরবন ও ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে চিত্রা ট্রেনে যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার অদূরে অবস্থিত পোরাদহ রেল স্টেশনে নেমে বাস কিংবা অটোরিকশায় চড়ে শহরে আসতে হবে। শহর থেকে রিকশা অথবা অটোরিকশায় লালন শাহের মাজারে যেতে পারেন। থাকা-খাওয়া থাকার জন্য শহরেই মানসম্মত অনেক হোটেল পাবেন। এর মধ্যে পদ্মা, হোটেল রিভার ভিউ, গোল্ড স্টার, সানমুন অন্যতম। খাওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট। তার মধ্যে জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল, শফি হোটেল, হোটেল খাওয়া-দাওয়া, মৌবন রেস্টুরেন্টসহ ৩টি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পাবেন।এসইউ/পিআর
Advertisement