রাজনীতি

ভেঙে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোট!

খোদ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে জোট নিয়ে শঙ্কা। অবশেষে কি তা হলে ভেঙেই যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন এই জোট। এমন প্রশ্ন জোট শরিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। শনিবার প্রকাশিত একটি গণমাধ্যমে দেয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জোট থাকা-না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।জোটের অন্যমত শরিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “মাহবুবুর রহমান জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে ধরনের বিরূপ মন্তব্য করেছেন তা অন্যায়, অযৌক্তিক ও অপ্রত্যাশিত।”আযাদ আরো বলেন, “তিনি (মাহবুব) জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা মন্তব্য করেছেন তা ২০ দলীয় জোটের ঐক্যের পরিপন্থী এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মাহবুবুর রহমানের মনে নানা প্রশ্ন থাকলেও জনগণের মনে কোনো বিরূপ প্রশ্ন নেই।”হামিদুর রহমান আযাদ মাহবুবুর রহমানকে প্রশ্ন করে বলেন ‘সরকার যদি মনে করে জামায়াত জঙ্গি সংগঠন, তাহলে তাকে বেআইনি করছেন না কেন?জোট থাকা না থাকা প্রশ্নে আযাদ বলেন, “তিনি যে মন্তব্য করছেন তা উস্কানিমূলক এবং ২০ দলীয় জোটের ঐক্য বিরোধী। ২০ দলীয় জোটের শরীক দলের একজন নেতা হয়ে তিনি এ ধরনের স্ববিরোধী মন্তব্য করতে পারেন না। সরকারের এজেন্ট হিসেবে যারা ২০ দলীয় জোট ভাঙতে চায় তারাই এ ধরনের আত্মঘাতী বিরূপ মন্তব্য করতে পারে।”তিনি হুশিয়ারি দিয়ে মাহবুবকে বলেন, ২০ দলীয় জোটে থেকে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি জনাব মাহবুবুর রহমানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”২০ দলীয় জোট সূত্রে যানা যায়, গত ১ বছর যাবৎ দলের শরিকদের মধ্যে সম্পর্কের টানা-পেড়েন চলছে। নাম না প্রকাশ করা সূত্রে জোটের এ শীর্ষ নেতা জাগো নিউজকে বলেন, ভাঙনের প্রশ্ন তখনই আসে যখন তা সঠিক জায়গায় থাকে! তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, জোট কি আদৌ আছে?এ বিষয়ে রাতে জোট নেতা মুফতি ফয়জুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিষটি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পর্যবেক্ষণের পরই জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত।এএম/বিএ

Advertisement