করোনাভাইরাসের কারণে সবার মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। আবার বাড়ি থেকেও বের হওয়া নিষেধ। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউ। কাই যতটা সম্ভব একবারে বাজার করে খাবার মজুত করছেন সবাই। যদিও খাবার সামগ্রী এখনও পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত, তবু অনেকেই আতঙ্কের কারণে বেশি কিনে রাখছেন। কিন্তু সব ধরনের খাবারই কি ফ্রিজে রাখা যাবে? জেনে নিন কোন খাবারগুলো ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না-
Advertisement
দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ হলো প্রথম জিনিস যা আমরা মজুত করতে চাই। কার্টনে দুধ রাখা যেতেই পারে ফ্রিজে। কিন্তু কার্টন খুললেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমনি পনিরও ক্রমাগত ফ্রিজে রাখলে আর বের করলে একসময় খাদ্যগুণ হারায়।
ভাজা পোড়া: আমরা ফ্রাই, পকোড়া এবং নাগেটসের মতো ভাজা খাবার পছন্দ করি। কিন্তু এই ভাজা খাবারগুলো ফ্রিজে রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। যা শরীরের পক্ষে বিষ। তাই ঘুরে ফিরে খেতে চাইলে গরম গরম ভেজে খান।
শসা: বরফ ঠান্ডা শসার টুকরো কেবল চোখের জন্য ব্যবহার করুন। খাবার হিসেবে নয়। ঠান্ডা শসা ফ্রিজের বাইরে আনলেই স্বাদ বদলে যায়। এই শসার সালাদ খাওয়া শরীরের জন্যও ঠিক নয়।
Advertisement
ফল: কেবল শুকনো ফল ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করা নিরাপদ, তাজা ফল নয়। এগুলিকে হিমায়িত করার ফলে তাদের গঠন, স্বাদে পরিবর্তন আসে। পুষ্টির মান কমে যায়।
নুডলস: লকডাউনে নুডলস তৈরি করতে চান? রান্না করা বা না রান্না করা নুডলস এবং পাস্তা ফ্রিজে ভালো থাকে না। এটি ডিফ্রস্ট করার পরে রান্না করা মুশকিল হয়ে যায়। আপনি অনেকগুলো প্যাকেট কিনে এমনিই রাখুন। ভালো থাকবে।
কফি: কফি বীজ বা গুঁড়া ফ্রিজে রাখলেই তা স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে। স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কেবল কফি ব্যাগ বা প্যাকেট কয়েক সপ্তাহ ধরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
টমেটো সস: সস ছাড়া স্যান্ডউইচ, চিপস, স্ন্যাকসের মতো মুখরোচক খাবার খাওয়াই যেন অসম্ভব। তবে ভুলেও এটি ফ্রিজে রেখে দেয়ার পরিকল্পনা করবেন না। এটি ডিফ্রস্ট করার পরে টম্যাটো পেস্ট, পানি এবং ভিনেগার আলাদা হয়ে যায়।
Advertisement
এইচএন/এমকেএইচ