মেদ কমানো কিংবা বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগে থাকেন অনেকেই। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচের খাদ্য উপাদানগুলো অনুসরণ করলে এতে করে প্রাকৃতিকভাবেই আমরা ওজন সমস্যার সমাধান করতে পারি। নিয়মিত খাবারের তালিকায় এসব উপাদান রাখলে আমাদের ব্যায়ামের মত কঠিন কাজও সবসময় করতে হবে না-মটরশুটিতে কম মেদ হয় কিন্তু এটি শরীরে অনেক শক্তি ও প্রোটিন যোগায়। নিরামিষভোজীদের জন্য মটরশুটি একটি অত্যন্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এটি একটি বিপাকীয় পরিবেশের জন্য উত্তম খাদ্য।আদা হজমের সমস্যা সমাধান করে। এটা খাওয়ার পর শরীরে অস্বস্তিকরভাবকমায় ও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এসিড সমস্যা সমাধান করে আদা। যদি আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাবারে আদা রাখুন এবং ক্যালরি সঞ্চয় করুন এবং মেদ কমান।প্রতিদিন আপেল খেলে শরীরের মেদ সেল কমতে থাকে। আপেলের খোসা অকল্পনীয়ভাবে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।আখরোট এক ধরনের ফল। আখরোট ওমেগা-৩ এর মত কাজ করে। আখরোটলিনোলিনিক এসিড তৈরি করে এবং শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে আখরোট খেলে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রেখে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলবে। এটি এন্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে শরীরের পরিবেশকে ঠিক রাখে। এটা ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ করে থাকে এবং কলেস্টেরলের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে।প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমান পানি পান করা প্রয়োজন। এটা একটা গুরুত্বপূর্ন উপাদান আমাদের শরীরের জন্য। যদি আপনি পরিমানমত পানি পান না করেন তাহলে কিছুক্ষণেরমধ্যে শুষ্কতা অনুভব করবেন। বেশি বেশি পানি খেলে আপনা-আপনি মেদ কমে যায়।ডিমের কুসুমের পাশের সাদা অংশ মেদ ও ক্যালরি কমানোর একটি অন্যতম উপাদান। খাদ্যে বিদ্যমান কোলেস্টেরল ব্যাপক প্রভাব ফেলে শরীরের রক্তের কলেস্টেরলে। ডিমের সাদা অংশ অনেক বেশি ফ্যাটি এসিড এবং প্রোপটন সমৃদ্ধ যা সমন্বয় করে শরীরের মেদ কমায়।ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে। কিন্তু এটাও সত্যি যে ক্যালসিয়াম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। দুধের তৈরি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার এবং অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরের মেদকে কমিয়ে দেয় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।এইচএন/পিআর
Advertisement