করোনার আক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশে মোট আক্রান্ত ১৫ লাখ ১৮ হাজার ২৩। মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৪৫৭ জনের। তবে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩৫৭ জন।
Advertisement
মরণঘাতী এ করোনাভাইরাস মূলত ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। সারফেসেও অনেকক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু বাতাসে ভেসে থাকার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ ড্রপলেটগুলো এতটাই ভারী যে, বাতাসে বেশিক্ষণ ভাসতে পারে না। ফলে নিচে পড়ে যায়।
যারা রোগীর সংস্পর্শে আসছেন, সে ক্ষেত্রে যদি কোনো রোগীকে নেবুলাইজ বা সাক্সেন করতে হয়; তখন কিন্তু ড্রপলেটটি ছোট ছোট অংশে ভেঙে যায়। এমনকি হালকা হওয়ার জন্য তখন সে বাতাসে ভাসতে পারে। সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ সুরক্ষা নিয়েই রোগীর কাছে যেতে হবে।
ভারতের বিশিষ্ট চিকিৎসক জয়দেব রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য শুধু লকডাউন করলেই হবে না; সাথে সাথে রোগ নির্ণয়, রোগের চিকিৎসাও করতে হবে। এমনকি লকডাউন উঠে গেলেও সুশৃঙ্খলভাবে করোনা মোকাবেলা করলে, তবেই করোনামুক্ত হওয়া যাবে।
Advertisement
সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপাতত বাতাস বা হাত- এসব বিষয় গবেষণা বাদ দিয়ে করোনা রোধে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ বাতাসে ভেসে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এসইউ/জেআইএম