আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হরেক রকম শাক-সবজি থাকেই। কিন্তু বিভিন্ন অসুখের প্রতিষেধক হিসেবে শাক-সবজির গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই হয়তো জানি না। অসুখ হলেই মুঠো মুঠো ওষুধ না খেয়ে বরং শাক-সবজি খেলেই সুস্থ হওয়া সম্ভব। ভাবছেন, কী করে? চলুন জেনে নিই, কোন অসুখে কী শাক-সবজি খাবেন-উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন আলু, কচু, ঢেঁরস, ঝিঙে, বীট, গাজর, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, মটরশুঁটি, পালং শাক, বাঁধাকপি, নটেশাক ইত্যাদি নিয়মিত আহারের তালিকায় রাখুন। এছাড়া সজনে পাতা সেদ্ধ ভাতের সাথে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা রসুনেরও উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনার ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এক কোয়া করে কাঁচা রসুন ভাতের সাথে খেলে উপকার পাবেন।তেলকুচা, করলা, মেথি শাক, কচি নিমপাতা, হেলেঞ্চা শাক ডায়াবেটিস রোগের মহৌষধ। ডায়াবেটিস রোগে সাদা বেগুন দারুণ উপকারী। এছাড়া কলার থোড়, মোচা, ঢেঁড়স, ডুমুর, পালং শাক ইত্যাদিও উপকারী। কাঁচা রসুন রক্তে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম।চোখের সমস্যা প্রতিরোধে শিশুদের প্রথম থেকেই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, পালং শাক, টমেটো, নটে শাক, মেথি শাক, সরষে শাক, লাল শাক, সজনে ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য বথুয়া এবং গিমা শাক দারুণ উপকারী।ত্বক পরিষ্কার ও রক্ত পরিশোধনের জন্য কিছু শাকসবজি বেশ উপকারে লাগে এবং চর্মরোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। মেথি শাক, নুনিয়া শাক, নটে শাক, নিম পাতা, হেলেঞ্চা শাক, করলা, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি খেলে চর্মরোগের বিরুদ্ধে দেহের ভেতরে একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। খোসপাঁচড়া বা চুলকানি সারাতে নিমপাতা ভাজা, কাঁচা রসুন এবং হেলেঞ্চা শাক বেশ কার্যকরী।প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি সবজি রাখলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। কলার থোড় খেলে হজম শক্তি বাড়বে। গিমা শাক, পুদিনা, চিচিঙা, পটল, কাঁকরোল ইত্যাদি সবজি খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমবে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসজনিত পেট ফাঁপায় সরষে শাক ও থানকুনি শাক বেশ কার্যকরী।এইচএন/পিআর
Advertisement