করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মানুষ মূলত গৃহবন্দি। সবাইকে এখন ঘরেই থাকতে হচ্ছে। ঘরে বসেই কাজ করতে হচ্ছে। তেমন নড়াচড়া করা হচ্ছে না। এভাবে দীর্ঘ সময় লকডাউনের ফলে মানুষের সামাজিক ও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এতে অসংখ্য মানুষের বিভিন্নভাবে রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসুন জেনে নেই কারণগুলো-
Advertisement
১. পরিবেশগত ও শারীরিক কারণে আমরা সঠিকভাবে নিশ্বাস নিতে পারি না। ফলে শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। তার ওপর মাস্ক পরার ফলে অক্সিজেনের জোগানও কমে যাচ্ছে। এতে শরীরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
২. ঘরে বসে থাকলে শরীরের বিষাক্ত জিনিস শরীরেই থেকে যায়, ঘাম হয়ে বের হয় না। আর তা বেরিয়ে না গেলে শরীরে বিপত্তি ডেকে আনবে।
৩. গণপরিবহনে যারা যাতায়াত করেন, দুলুনি বা ঝাঁকুনিতে তাদের পাচনযন্ত্র বাড়তি কাজ করে। তাই লকডাউনের ফলে হজমশক্তি হ্রাস পাবে।
Advertisement
৪. অনেক মানুষেরই বাসস্থানের আয়তন পর্যাপ্ত নয়। এমন অবস্থায় দিন-রাত একসঙ্গে থাকলে গার্হস্থ্য কলহ বাড়বে। বিবাহ-বিচ্ছেদ না হলেও সুস্বাস্থ্যের সাথে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কিন্তু বাড়বেই।
৫. বিচ্ছিন্নতা মানুষকে আরও বিপন্ন করে তোলে। অসংখ্য মানুষ তাই মানসিক ভারসাম্য হারাতে পারে।
৬. যারা প্রাতঃভ্রমণ বা সান্ধ্যভ্রমণ করতেন, তাদের শরীর ঠিক রাখাই এখন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা পার্ক, রবীন্দ্র সরোবর বা বিভিন্ন পার্কে ভ্রমণ করেন; তাদের জন্য শরীর ঠিক রাখা কষ্টকর হবে।
৭. অনেক প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, যেমন- রিকশাচালক, দিনমজুর, হকারদের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
এসইউ/এমএস