বাড়িতে বসে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন কেউ কেউ। কাউকে আবার যেতে হচ্ছে অফিসে। কাজের রুটিন যেমনই হোক, বারবার হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে অলসতা করছেন অনেকেই। বরং তারা কাছেই নিয়ে বসছেন হ্যান্ড স্যানেটাইজার। বাজারেও ঠিকভাবে মিলছে নাই স্যানেটাইজার। আর এই নিয়ে হচ্ছে দুশ্চিন্তা। কিন্তু সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরিবর্তে হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহারেই কি মুক্তি মিলবে? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
Advertisement
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার কখনোই কচলে হাত ধোয়ার বিকল্প হতে পারে না। সাবানও এর চেয়ে ভালো বিকল্প। সাবান বা জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কচলে হাত ধুলে হাতের তালুর প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ জীবাণু মরে যায়। কিন্তু সেই তুলনায় সাধারণ সুগন্ধী হ্যান্ডওয়াশে হাত ততটা সুরক্ষিত থাকে না। আবার হাত কচলে না ধুলেও হাতের উপরিভাগে, নখের কোনায়, আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে অনেক সময় জীবাণু থেকে যায়। তাই কচলে হাত ধোয়াই সেরা উপায়। বরং নিয়ম মেনে, ঘন ঘন হাত ধুলে স্যানিটাইজারের প্রয়োজনও পড়ে না।
স্যানিটাইজার দিন, তবে হাত না ধুয়ে শুধু এতে ভরসা করলে কাজের কাজ হবে না। একান্তই হাত ধোয়ার অবস্থায় না থাকলে তবেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহল বা ইথাইল অ্যালকোহল মেশানো স্যানিটাইজারও সাবান বা জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশের মতো জীবাণু রুখতে সক্ষম নয়। তা ব্যবহার করুন, কিন্তু একমাত্র তাকেই সহায় করে তুলবেন না। জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে বা সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়াই হলো করোনা থেকে বাঁচার উপায়।
হাত কচলানো, ফেনা ও পানির সমন্বয়ে হাত যেভাবে পরিষ্কার হয়, স্যানিটাইজার ততটা পারে না। বাইরে থাকলে, হাত ধোয়ার উপায় একান্তই না থাকলে তখন হাতের কাছে রাখা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। কিন্তু তাকেই একমাত্র সহায় ধরবেন না। ভালো করে হাত না ধুয়ে শুধু স্যানিটাইজার ব্যবহারেই করোনার আক্রমণ রুখে দেয়া যাবে, এমন ধারণা ভিত্তিহীন।
Advertisement
আনন্দবাজার/এইচএন/জেআইএম