লাইফস্টাইল

করোনা আতঙ্ক : বাসায় সময় কাটাবেন যেভাবে

করোনাভাইরাস নামক শত্রুকে ঘায়েল করার লক্ষে যার যার বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কর্মব্যস্ত দিন হঠাৎ স্থবির হয়ে গেলে জীবনযাপনে ভিন্নতা আসবেই। দীর্ঘদিনের অভ্যাস রাতারাতি বদলে ফেলা মুশকিল। এদিকে সারাদিন বাড়িতে থাকার বিষয়টি শুনতে সহজ মনে হলেও ততটা সহজ নয়। কারণ, একটা সময় আপনার বিরক্ত লাগতে শুরু করতে পারে।

Advertisement

এদিকে খুব একটা চলাফেরা না থাকার কারণে শরীরও অচেনা আচরণ করতে পারে! এই বাড়িতে থাকার সময়টুকু যদি আনন্দময় ও অর্থবহ করে তুলতে পারেন, তাহলে একঘেয়েমি কেটে যাবে। সময়টাও কাটবে সুন্দরভাবে। যেহেতু বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গে আড্ডা দেয়া কিংবা বেড়াতে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই আপনার পরিকল্পনাগুলো তাদের বাদ দিয়েই করতে হবে। জেনে নিন কীভাবে বাড়িতে থাকার দিনগুলো সুন্দর করবেন-

বই পড়া: সারাদিন ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে যে সুন্দর অভ্যাসটি আপনি ছেড়ে এসেছেন, তা হলো বই পড়া। এদিকে সময়েরও অভাব। নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বই নামক বন্ধুটিকে ফেলে রেখেছেন অবহেলায়। এই সুযোগে আবার সেই অভ্যাসটি ফিরিয়ে আনুন। পছন্দের বইগুলো একেক করে পড়তে শুরু করুন। তাতে আপনার কল্পনার জগত যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি সময়ও কাটবে দুর্দান্ত।

সিনেমা দেখা: বিখ্যাত কিংবা পছন্দের কিছু সিনেমার তালিকা তৈরি করে রেখেছেন অথচ দেখবো দেখবো করেও সময় পাচ্ছিলেন না? এবার তাহলে সময়টুকু কাজে লাগান। পছন্দের সিনেমাগুলো দেখে ফেলুন। তাতে করে সময় তো ভালোভাবে কাটবেই, শিখতেও পারবেন অনেককিছু।

Advertisement

পরিবারকে সময় দেয়া: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারেন না? এই সুযোগটি লুফে নিন। এটা ঠিক যে তাদের নিয়ে ঘুরতে, দূরে কোথাও বেড়াতে কিংবা বাইরে খেতে যেতে পারবেন না। কিন্তু একসঙ্গে থাকার তো সুযোগ পাবেন! যেসব গল্প জমা হয়ে থাকে, অথচ বলা হয় না, তা বলে ফেলুন। মন খুলে আড্ডা দিন। কারও কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্য পরামর্শ দিন। ব্যক্তিগত ভালোলাগা-মন্দলাগা ভাগাভাগি করুন। আনন্দময় দিনগুলো আবার ফিরে আসুক।

ছবি আঁকা: রং-তুলিতে আঁকিবুকি অনেকেরই শখ। কিন্তু ওই যে, ব্যস্ততা! এর কারণেই তো সব শখ মাটি করে চলতে হয়। তাই হঠাৎ পাওয়া অবসরে সেই শখটাকেই আবার ফিরিয়ে আনুন না! অনুরাগের সবটুকু মিশিয়ে রঙিন করে তুলুন প্রিয় ক্যানভাসটি। এই সুযোগে চমৎকার সব ছবিও আঁকা হয়ে যাবে নিশ্চয়ই।

ফোনে যোগাযোগ: কাজের চাপে সেযব আত্মীয়-পরিজনের খোঁজ নিতে পারেন না, একবার তাদের খোঁজ নিন। সম্ভব হলে কিছুটা সময় নিয়ে কথা বলুন। এতে তাদের সঙ্গে বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। আপনিও সম্পর্কের যত্ন নিতে শিখবেন।

গান শোনা: অবসর কাটানোর দারুণ একটি উপায় হলো গান শোনা। এটি কিন্তু মন ভালো করার কাজও করে! পছন্দের গানগুলো শুনতে পারেন। সময় তো কাটবেই, মনটাও হবে ঝরঝরে।

Advertisement

রান্না করা: রান্না এখন আর গৃহিণীদের কাজ হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই। বরং রান্না জানাটা এখন স্মার্টনেসের অংশ। এখন রান্না শেখাটাও খুব সহজ। আপনি গুগল কিংবা ইউটিউব ঘাঁটলেই চমৎকার সব রেসিপি জানতে পারবেন। সেখান থেকেই পছন্দের রেসিপির এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন। নতুন কিছু শেখাও হলো আবার সময়টাও ভালো কাটলো!

এসবের পাশাপাশি নিজের প্রতি যত্নশীল হোন। নিয়মিত খাওয়া, গোসল, প্রার্থনা সারুন। যেহেতু বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই তাই ঘরেই যতটুকু সম্ভব শরীরচর্চা করুন। অসুখের কোনোরকম লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হোন এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। নিজে নিরাপদ থাকুন, পরিবার-পরিজনকেও নিরাপদ রাখুন।

এইচএন/পিআর