করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ইতিমধ্যেই টের পেয়েছে বিশ্ববাসী। চীন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস এখন পৃথিবীর সবচেয়ে আতঙ্কের নাম। মহামারি আকার ধারণ করা এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে ব্যাপকভাবে।
Advertisement
গবেষণা অনুসারে, যেসব ব্যক্তিরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে কারণ যাদের হার্টের সমস্যা নেই সেইসব মানুষের তুলনায় এই ভাইরাসটি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর মতে, যাদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, যেমন- ৬০ বছর বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক অর্থাৎ ৮০ বছর বয়স বা তারও বেশি বয়সী ব্যক্তিদের এবং হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের রোগীদেরও কোভিড-১৯ এর কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা বলেছেন যে, কোভিড-১৯ -এর সময় হার্টের রোগীদের অতিরিক্ত যত্ন নেয়া উচিত। এই ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে, প্রচুর ফল এবং শাকসবজি খেতে হবে, নিয়মিত শরীরচর্চা (বাড়ির ভেতরে) করা এবং ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এর ফলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হবে এবং যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
Advertisement
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির মতে, হাসপাতালে ভর্তি COVID-19 রোগীদের ৪০ শতাংশের মধ্যেই কার্ডিওভাসকুলার বা সেরিব্রোভাসকুলার রোগ পাওয়া গেছে। হৃদরোগীদের সংক্রমণ রোধ করার জন্য এই বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি-
* যারা অসুস্থ তাদের এড়িয়ে চলুন।* চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। * কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধোবেন।* হাঁচি দেওয়ার সময় নাক ঢেকে রাখুন। * কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখুন।* যে যে জায়গায় স্পর্শ করেন সেইসব জায়গা থেকে ভাইরাস অপসারণের জন্য জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন। * হার্টের রোগীদের সমাবেশ এবং ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত। হার্টের রোগীদের টিকা বা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপ টু ডেট থাকতে হবে, যেমন - নিউমোনিয়া এবং ফ্লু-এর জন্য।
এইচএন/পিআর
Advertisement