পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন বেশিরভাগ নারী। দিনদিন এই সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তলপেটে ব্যথা হয়ে থাকে। অনেকে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই পেইন কিলার খেয়ে থাকেন। চিকিৎসকেরা পেইন কিলারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে বলেন। কিছু খাবার রয়েছে, যা খেলে ব্যথা কমবে অনেকটাই। জেনে নিন তেমন কিছু খাবার আর উপায়ের কথা-
Advertisement
আদা: আদার গুণের কথা প্রায় সবারই জানা। এটি পিরিয়ডের সময়কার ব্যথা দূর করতেও বেশ কার্যকরী। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম পানিতে সেদ্ধ করে মধু-চিনি সহযোগে দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন।
পেঁপে: হজম কিংবা পেটের যেকোনো সমস্যায় কাঁচা পেঁপে উপকারী। পাশাপাশি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য পেঁপে বেশ কার্যকরী। পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
অ্যালোভেরা রস: এসময় আরেকটি উপকারী উপাদান হতে পারে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। পিরিয়ডের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়।
Advertisement
কফি এড়িয়ে চলুন: এমনিতে কফি উপকারী হলেও পিরিয়ডের সময়টায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। কফিতে মূলত ক্যাফেইন থাকে যা রক্তনালীকে উত্তেজিত করে তোলে। এবং এটি পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়।
প্রচুর পানি এবং পানীয় খান: এসময় শরীরে পানির পরিমাণ যাতে কমে না যায়, সেজন্য প্রচুর পানি পান করুন।
ল্যাভেন্ডার অয়েল: পিরিয়ডের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মালিশ করুন। ১০- ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে অনেকখানি।
গরম পানির সেঁক: পেটে ব্যথার সময় গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে। গরম পানিতে গোসলও করতে পারেন।
Advertisement
এছাড়া এই সময় ভিটামিন এবং মিনারেল-জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মিনারেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন। মাসের অন্যান্য দিনগুলোর মতোই ব্যথামুক্ত ও সতেজ থাকুন।
এইচএন/এমকেএইচ