স্বল্প খরচে অধিক পুষ্টি জোগাতে ডিমের জুড়ি নেই। আবার এই ডিম দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের, নানা স্বাদের খাবার। স্বাদ ও পুষ্টিতে ডিম বরাবরই অনন্য। একটা সময় ধারণা করা হতো ডিমের কুসুম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান তা অস্বীকার করছে। বরং ডিমের কুসুম ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
Advertisement
এদিকে ওজন বাড়াতে ডিম কোনো প্রভাব ফেলে না। তেল-মশলায় জড়িয়ে রান্না করা যেকোনো খাবারই আপনার ওজন বাড়াবে। তেল-মশলাযুক্ত খাবার প্রতিদিন খেলে মেদ তো বাড়বেই! তাই মেদ বৃদ্ধির ভয়ে খাবার তালিকা থেকে ডিম বাদ দেয়ার কোনো যুুক্তি নেই। বরং এই ডিমই আপনাকে মেদ কমাতে সাহায্য করতে পারে। আবার শরীরও পুষ্টি পাবে সঠিকভাবে। তাই কষা মশলায় ভুনা ডিম বা পোচ-ডিমভাজা নয়, ডিম খান এই উপায়ে-
পানি পোচ: ডিম পোচ বলতে আমরা যা বুঝি তা আসলে পোচ নয়, ডিম ফ্রাই। পানির ভেতর ভিনেগার মিশিয়ে তাতে ডিম ছেড়ে দিয়ে ডিম পোচ তৈরি করা হয়। পানি পোচ তৈরি করার জন্য একটি হাঁড়িতে পানি নিয়ে তাতে অল্প ভিনেগার মিশিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে ডিম ভেঙে ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পরই পোচটিকে আলতো করে তুলে নিন পানি থেকে। ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে এই পোচ থেকে। পেটে মেদ জমার ভয় থাকে না।
সালাদ: যেকোনো রকম সালাদই আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু সালাদে যোগ করতে পারেন ডিম। পালং, শশা, ব্রকলি, সেদ্ধ করা গাজর, মটরশুটি, টমেটো-পেঁয়াজের সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে দিন সিদ্ধ ডিমের কুঁচানো অংশ। এর সঙ্গে মেশান গোলমরিচ ও লেবুর রস। এতে পুরো ডিমের পুষ্টিগুণ তো মিলবেই, পাশাপাশি শাক-সবজির কারণে মেদ ঝরবে দ্রুত।
Advertisement
ওটমিল ও ডিম: ওটমিল পাচনমূলক অ্যাসিড ক্ষরণে বাধা দেয়, তাই ওটমিল খেলে সহজে ক্ষুধা পায় না। ডিমের সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে খেতে পারেন। ওটমিল শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমার পথে বাধা দেয়। আর ডিম জোগায় প্রোটিন। ওটমিল ও ডিম একসঙ্গে খেলে মেদ আর বাড়তেই পারবে না।
এইচএন/জেআইএম