পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। ব্যস্ততার জীবনে একটু প্রশান্তি পেতে তারা ছুটে যাচ্ছেন পাহাড়ে। কেউ এসেছেন বিশেষ দিন উদযাপন করতে, কেউ প্রকৃতি দেখতে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে। প্রতিদিনই আগমন ঘটছে হাজারও পর্যটকের।
Advertisement
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, শীতের মৌসুম শুরু হতেই পর্যটন ব্যবসা চাঙা হয়েছে। ইতোমধ্যে বান্দরবানের সব ছোট-বড় আবাসিক হোটেল পরিপূর্ণ। আবার অনেকে হোটেল না পেয়ে উঠেছেন আত্মীয়-স্বজনের বাসায়। ময়মনসিংহ থেকে আসা আশরাফুল হক বলেন, ‘পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। ছোট ছোট ঘরগুলো আমাদের মুগ্ধ করেছে। ঢালের মধ্য দিয়ে রাস্তাগুলো এঁকেবেঁকে যাচ্ছে। বাংলাদেশটা যে এত সুন্দর, না এসে কাউকে বোঝানো যাবে না।’
বরিশাল থেকে সপরিবারে নীলাচলে আসা প্রকৌশলী আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘নীলাচল দেখতে অনেক সুন্দর। এখান থেকে পাহাড় আর ছোট ছোট ঘর দেখা যাচ্ছে। এখানে এসে মানসিক তৃপ্তি পেয়েছি। অনেক আগে এখানে কোনো নিরাপত্তা ছিল না। এখন অনেক নিরাপত্তা রয়েছে।’
হোটেল-মোটেল-বিশ্রামাগার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক বছর বান্দরবানে পর্যটন ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছিল। এবার পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে শহরের সব হোটেল বুক হয়ে গেছে। দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্ত থাকায় পর্যটক বেড়েছে।’
Advertisement
ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হৃদয় চাকমা বলেন, ‘ট্যুরিস্টরা যাতে সুন্দরভাবে ঘুরে যেতে পারেন। নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সময় কাটিয়ে যেতে পারেন। সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) কামরুজ্জামান বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকেই প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজারেরও বেশি পর্যটক আসছেন। আগে দিনে ৪০০-৫০০ পর্যটকও পাওয়া যেত না।’
সৈকত দাশ/এসইউ/এমকেএইচ
Advertisement