শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে পেট পরিষ্কার রাখা জরুরি। কিন্তু আমাদের ভুলভাল খাদ্যাভ্যাসের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয় বেশিরভাগ সময়ই। ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এর যন্ত্রণা কেবলমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। অনেকে শাকসবজি প্রায় খান না বললেই চলে। আবার অনেকের পানি খেতে অনীহা। প্রতিদিন অন্তত ৩-৩.৫ লিটার পানি পান দরকার। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে তাই মেনে চলতে হবে আরও কিছু নিয়ম-
Advertisement
প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন পাঁচ রকমের শাক-সবজি। আলু-পেঁয়াজ ছাড়া সময়ের সব রকমের সবজি খেতে হবে। ঢেঁড়স কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাঁর নিয়ম করে দুইবেলা ঢেঁড়শ খেলে সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
পালংশাকসহ বিভিন্নরকম শাক রাখুন মধ্যাহ্ন ভোজনে।
কুমড়া, লাউ, পটল-সহ সময়ের সবজি খেতে হবে। খোসাসহ সবজি খাওয়া উচিত।
Advertisement
শসা খান খোসাসহ। কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, জামসহ বেশির ভাগ ফলেই ফাইবার আছে। নিয়ম করে দিনে ৩/৪টি ফল খেলে ভালো হয়।
বাথরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ বসে চাপ দেবেন না। এতে সমস্যা বাড়ে।
নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন ঠিক রাখুন। বাড়তি ওজন পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ভারী জিনিস তুলবেন না।
কাবাবের নামে ঝলসানো মাংস খাবেন না। কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ডেকে আনে সহজেই।
Advertisement
ময়দার খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে। চাউমিন ময়দায় তৈরি হয়। মোমোও তাই। সুতরাং এই ধরনের খাবার বাদ দিন।
কেক, বিস্কুট খান পরিমিত। পরিবর্তে খই, ওটস খেতে পারেন।
ধূমপানের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়তে পারে। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিতে হবে।
যতই মুখরোচক হোক না কেন, এড়িয়ে চলুন ভাজা খাবার।
এইচএন/পিআর