সকাল কিংবা বিকেল, ব্যস্ততা কিংবা আড্ডা- এককাপ চা ছাড়া সবকিছুই পানসে লাগে যেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা দুধ চা আর রং চায়ের সঙ্গে পরিচিত। এর বাইরে মাঝে মাঝে হয়তো গ্রিন টি নামক চা খাওয়া হয়।
Advertisement
দুধ চা কিংবা রং চায়ে অভ্যাস্ত বলেই আমরা অন্যান্য অনেক চা সম্পর্কে জানি না। জেমন জেসমিন টি, আদা চা, পুদিনা চা, তুলসি চা ইত্যাদি আমাদের কাছে অনেকটাই অচেনা। তেমনই অপরিচিত আরেকটি চা হলো অপরাজিতা ফুলের চা।
অন্যান্য চায়ের তুলনায় অপরাজিতা চায়ের ভেষজ গুণ অনেক বেশি। এই চা রোগপ্রতিরোধ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য কর।
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সকালের শুরুটা এককাপ অপরাজিতার চা দিয়ে করা ভালো।
Advertisement
অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণে ভরপুর অপরাজিতার চা শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে।
নিয়মিত এই চা পান করলে শরীরের ক্ষতিকর সংক্রামণ থেকে বিরত রাখা যায়। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ পানীয়টি বিশেষ উপকারী।
শরীরচর্চার দিক থেকেও অপরাজিতার চা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
হতাশা কাটানোর এক দারুণ ওষুধ হতে পারে এই চা। এমনকী ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে অপরাজিতার চা। এর মধ্যে থাকা একাধিক উপকারী উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকিকে কমাতে সাহায্য করবে।
Advertisement
অপরাজিতার চা বমির ভাব দূর করে। এটি একটি ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ ফুল। তবে বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
অপরাজিতার চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ হজমে সাহায্য করে। বমি ভাব কাটানোর কাজেও আসে এই চা ৷ এছাড়া মস্তিষ্ক জনিত সমস্যা যেমন ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী।
যেভাবে তৈরি করবেন অপরাজিতার চা:অপরাজিতা ফুল শুকিয়ে একটা বয়ামে রাখতে হবে। চা তৈরির সময় দেড় কাপ পানিতে ৫-৬টি শুকনো অপরাজিতা দিয়ে পানি ফুটাতে হবে। ধীরে ধীরে ফুটন্ত পানি নীল হয়ে আসলে কাপে ঢেলে চিনি মেশাতে হবে। স্বাদ বাড়াতে লেবু যোগ করা যায়, তবে এতে নীল রঙ পালটে মেজেন্টা হয়ে যাবে। বাড়তি স্বাদ ও গন্ধের জন্য এলাচ, মধু, পুদিনাপাতা যোগ করতে পারেন।
এইচএন/এমকেএইচ