আল্লাহ তাআলা জুলুম বা অত্যাচারকে নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন। আর মাজলুম তথা যার প্রতি অত্যাচার করা হয়, তার সঙ্গে আল্লাহর কোনো পর্দা থাকে না। সে কারণেই মজলুমের দোয়া দ্রুত আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে ক্ষমতাধর ব্যক্তি বিশেষের অত্যাচার থেকে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছেন দোয়া। যে দোয়ায় বান্দা তার কাছে দুনিয়ার যাবতীয় অত্যাচার থেকে বেঁচে থাকবে। দোয়াটি আল্লাহ তাআলা সুরা ইউনুছে তুল ধরেছেন-
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ - وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَউচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তাঝআলনা ফিতনাতাল লিল ক্বাওমিজ জ্বালিমিন। ওয়া নাঝ্ঝিনা বিরাহ্মাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’ (সুরা ইউনুছ : আয়াত ৮৫-৮৬)অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর অত্যাচারি কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অবিশ্বাসী (জালিমদের) কবল থেকে অনুগ্রহ করে মুক্তি দাও।
এ দোয়ার উৎসহজরত মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি ঈমান আনয়ন করার পর ফেরাউন ও তার সম্প্রদায় বনি ইসরাইলের ওপর জুলুম অত্যাচার শুরু করে। বনি ইসরাইল সম্প্রদায় হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি তাদেরকে আল্লাহর ওপর ভরসা করতে বলেন।
Advertisement
তখন বনি ইসরাঈল সম্প্রদায় আল্লাহর ওপর ভরসা করেন। আল্লাহ বনি ইসরাঈল সম্প্রদায়কে ফেরাউনের ভয়াবহ জুলুম থেকে হেফাজত করেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ নীল নদে ডুবিয়ে মারেন।
সুতরাং মানুষের ওপর অত্যাচার-জুলুম করা মারাত্মক অন্যায় ও অপরাধ। তাই দুনিয়ার সব ধরনের অত্যাচারে ব্যাপারে আল্লাহর কাছে কুরআনের এ আয়াতের মাধ্যমে দোয়া করা যেতে পারে।
মুমিন মুসলমানের উচিত প্রত্যেক নামাজের পর আল্লাহর কাছে এ দোয়ার মাধ্যমে জুলুম-অত্যাচার থেকে বেঁচে থাকতে উল্লেখিত দোয়া করা। পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যায় সুরা ফালাক, সুনা নাস ও সুরা ইখলাস পাঠ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার সব বিপদ-আপদ, জুলুম-নির্যাতন থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/এমএস