সম্মান আর ভালোবাসার সমান সমান ভাগ নিয়ে গড়ে ওঠে বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্ক। একটি সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্কে সম্মান, শেয়ারিং কিংবা কেয়ারিং- কোনোকিছুর অভাব হয় না। দাম্পত্য মানেই পরস্পরকে মন খুলে মনের কথা বলতে পারা। কিন্তু যেসব সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মানবোধ, নির্দ্বিধায় নিজের সমস্ত অনুভূতি প্রকাশ করার মতো সুযোগ থাকে না, সে সম্পর্ক বিষিয়ে যাওয়ারই কথা।
Advertisement
দীর্ঘদিন এমন অসুস্থ সম্পর্ক বহন করে গেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনি নিজেও অসুস্থ হয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে সবরকম চিন্তা-ভাবনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন আপনাদের সম্পর্কও বিষাক্ত হয়ে গেছে কি না? লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিন-
সঙ্গীর সঙ্গ বিরক্ত লাগে: সঙ্গীর কাছাকাছি থাকলে কি আপনি খুশি হয়ে উঠতে পারেন না? বরং ক্লান্তি আর বিরক্তিবোধই বেশি হয়, সারাক্ষণ সতর্ক থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন, একটা নেতিবাচক সম্পর্কে রয়েছেন আপনি।
সঙ্গী বাড়িতে থাকলে স্বচ্ছন্দবোধ করেন না: স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সান্নিধ্যে স্বচ্ছন্দবোধ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তেমন যদি না হয়, তা হলে ধরে নিতে পারেন সম্পর্কে ভাঙন ধরতে শুরু করে দিয়েছে। পরস্পরের সঙ্গে ভালো করে কথা না বলা, সংসারের কাজ ভাগ করে না নেওয়া, যৌনজীবন একেবারেই না থাকা, এসব আসলে তারই লক্ষণ। অনেক সময় অবশ্য কাজের চাপেও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সময় দিতে পারেন না, কিন্তু একটানা এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই গুরুতর সমস্যারই ইঙ্গিত।
Advertisement
সঙ্গী সারাক্ষণ আপনার সমালোচনা করেন: যেকোনো কাজে প্রশংসা করা দূরে থাক, আপনার সব কাজই তিনি খাটো করে দেখান, স্বার্থপরের মতো আচরণ করেন। সেক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার সময় হয়েছে।
তিনি মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন না: ঝগড়াঝাটি সব সম্পর্কেই হয়। আবার দু’জন মিলে চেষ্টা থাকে তা মানিয়ে নেয়ার। কিন্তু সম্পর্ক যদি স্বাভাবিক পথে না চলে, তাহলে একপক্ষ মিটমাটের চেষ্টা করলেও অপর পক্ষ গোঁ ধরে থাকেন। ফলে সম্পর্কে স্থায়ী একটা সমস্যা থেকেই যায়।
হিংসা, গালিগালাজ: সারাক্ষণ অপমানকর কথাবার্তা, গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটার অর্থ সম্পর্কটা বিষিয়ে গেছে। অপেক্ষা না করে আত্মীয় ও বন্ধুদের সাহায্য নিন।
এইচএন/পিআর
Advertisement