কৃষি ও প্রকৃতি

পূজায় বাড়ে পদ্মফুলের চাহিদা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঝাড়াবর্ষা গ্রামের তেনাছিড়া বিল। এ বিলের মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা পথের ধারে ফুটেছে পদ্মফুল। দুর্গাপূজা এলেই পদ্মফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। পূজারিরা পদ্মফুল সংগ্রহ করে এলাকা থেকে। তবে পদ্মফুলের চাহিদা থাকলেও নেই বাণিজ্যিক চাষাবাদ।

Advertisement

জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ঝাড়াবর্ষা, তেনাছিড়া, পূর্ব কচুয়া, পশ্চিম কচুয়া, বুরুঙ্গী, শ্যামপুর ও পুটিমারি বিলে পদ্মফুল ফোটে। প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় পদ্মফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় প্রতিটি ফুল ১০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। শিশু-কিশোররা লেখাপড়ার ফাঁকে পদ্মফুল তুলে বিক্রি করে। অনেকে ফ্রিজে রেখে সময়মতো বিক্রি করে।

মথরপাড়া গ্রামের স্কুলছাত্র সজিব সরকার জানায়, অনেক দূর থেকে লোকজন আসে পদ্মফুল নেওয়ার জন্য। তারা বিল থেকে ফুল তুলে দেয়। প্রতিদিন ৫০-১০০ টাকা পায় ফুল বিক্রি করে। দুর্গাপূজার সময় পদ্মফুল বেশি দামে বিক্রি হয়।

বুরুঙ্গী গ্রামের সুমনা রানী জানান, প্রতিবছর এ সময়ে পদ্মফুলের চাহিদা বাড়ে। তাই ছেলে-মেয়েরা কাঁটার আঘাত সহ্য করে ফুল তোলে। বিভিন্ন এলাকার ফুলপ্রেমিদের হাতে তুলে দেয়। পূজা শেষে এ ফুলের তেমন চাহিদা থাকে না।

Advertisement

স্কুলশিক্ষক জয়নুল আবেদীন তৌহিদ জানান, পদ্মফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে দেশের ফুলের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ হতো। দেশের জলাশয়গুলো কাজে লাগতো। এ ফুল বিক্রি করে অনেকে স্বাবলস্বী হতো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, খাল-বিলের পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিতে পদ্মফুলের চাষ করা সম্ভব। কৃষকরা আগ্রহী হলে কৃষি বিভাগ পাশে থাকবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ বলেন, ‘পদ্মফুল আমাদের শেখায়, ভালো কিছু করতে গেলে কাঁটার আঘাত খেতে হয়। পদ্মফুল ভালোবাসার প্রতীক। কাঁটা বুকে নিয়ে মানুষের মাঝে সুবাস আর সৌন্দর্য বিলায়।’

জাহিদ খন্দকার/এসইউ/এমকেএইচ

Advertisement