টয়লেট ব্যবহারের রীতি একেক দেশে একেক রকম। ইদানিং টয়লেটেও আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলা হয়। চিরাচরিত কমোড ফেলে দিয়ে হাই-কমোড বসানো হয়। পরিবারের এ আভিজাত্য প্রকাশ করতে গুনতে হয় বাড়তি টাকাও। তবেই না একটু স্বস্তি মেলে। আসলে কি তা-ই?
Advertisement
পশ্চিমা দেশগুলোতে হাই-কমোডের প্রচলন বেশি। আর বাংলাদেশে নরমাল কমোডের প্রচলন বেশি। তবে আভিজাত্যের স্বস্তি খুঁজতে এখন হাই-কমোডের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে কি স্বস্তি মেলে? বরং তার উল্টো। কেননা হাই-কমোডের চেয়ে নরমাল কমোড অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টয়লেট পদ্ধতি ও পশ্চিমা টয়লেট পদ্ধতির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যদিও বাংলাদেশিরা এখন পশ্চিমা পদ্ধতিই বেশি ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এ দেশীয় টয়লেট পদ্ধতি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। পশ্চিমা পদ্ধতিতে শরীরে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে, যা আমরা টের পাই না।
জানা যায়, কম বয়সে পশ্চিমা পদ্ধতিতে টয়লেটে হাই-কমোড ব্যবহার করলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু টয়লেটে নরমাল কমোড ব্যবহার করলে তিনটি উপকার হয়। টয়লেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষই জানেন না এ উপকারগুলোর কথা।
Advertisement
ভেবে দেখুন, নরমাল কমোড ব্যবহারকারীরা সাবান ব্যবহার করেন। এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি। যা শরীরে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে দেয় না। অন্যদিকে যারা হাই-কমোড ব্যবহার করেন, তারা বেশিরভাগই টিস্যু ব্যবহার করেন। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ নিয়মিত টয়লেটে নরমাল কমোড ব্যবহার করতে গিয়ে ওঠ-বস করেন। ফলে তাদের পায়ের ব্যায়াম হয়। পায়ের হাড় শক্ত হয়। শরীরের জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের কমোড বিশেষ ধরনের হতেই পারে।
এছাড়া নরমাল কমোড ব্যবহার করলে পরিপাকতন্ত্র বা পাচনতন্ত্র অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। কারণ পাচনতন্ত্রে যে চাপ পড়ে তা শরীর থেকে বিষ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে হাই-কমোডের চেয়ে নরমাল কমোড বেশি স্বাস্থ্যকর। সুতরাং অযথা আভিজাত্য দেখাতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।
জেনে নিন আরও টিপস-> স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ১০ উপায়> অভিভাবকরা যে ভুলগুলো করে থাকেন> আত্মহত্যা প্রতিরোধে আপনার করণীয় কী
Advertisement
এসইউ/এমএস