রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, صَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِي أُصَلِّي অর্থাৎ তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখেছ, সেভাবে নামাজ পড়। নামাজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যে দোয়া পড়তেন, জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি নামাজ ততক্ষণ পর্যন্ত হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে আল্লাহু আকবার বলবে অতপর রুকু করবে অতপর سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَة বলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। (আবু দাউদ) অর্থাৎ রুকুর পর সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।১. অতপর তিনি বলতেন- اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْد- উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)অর্থাৎ হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা তোমারই।২. তার পর বলতেন رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِউচ্চারণ : রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছিরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফিহি।অর্থ : “হে আমাদের প্রতিপালক! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” (বুখারি)৩. হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহ আনহু বলতেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন, তখন বলতেন-اَللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْأَ السَّمَوَاتِ وَمِلْأَ الأَرْضِ، وَمَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْأَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيءٍ بَعْدُ. أَهلَ الثَّناءِ وَالْمَجْدِ، أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ، وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ. اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّউচ্চারণ : মিল’আস সামা-ওয়া-তি ওয়া মিল’আল আরদি ওয়ামা বাইনাহুমা, ও মিল’আ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা‘দু, আহলাস সানা-য়ি ওয়াল মাজদি, আহাক্কু মা ক্বালাল ‘আবদু, ওয়া কুল্লুনা লাকা ‘আবদুন, আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘য়ু যাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।অর্থ : “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসা করছি। আসমানসমূহ পূর্ণ করে, যমীন পূর্ণ করে ও যা এ দু’টির মাঝে রয়েছে (তাও পূর্ণ করে), আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে প্রশংসা ও সম্মান-মর্যাদার যোগ্য সত্ত্বা! বান্দা সবচেয়ে যে সঠিক কথাটি বলেছে তা হচ্ছে- আর আমরা সবাই আপনার বান্দা- হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো কাজে লাগবে না।” (মুসলিম, মিশকাত)পরিশেষে....আমরা নামাজের রুকু হতে ওঠে তাড়াহুড়া করে সিজদায় না গিয়ে উপরোল্লিখিত দোয়া সমূহ পড়ে ধীর-স্থিরভাবে সিজদায় যাবো। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ধীরস্থিরভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ইমেইল করুন- jagoislam247@gmail.comজাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। গুরুত্বপূর্ণ দুআ ও আমল শিখুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement