‘অপরাজিতা ফুলের চা’ শুনেই ভ্রু কুচকে গেল? এটা কি পান করা যায়? মূলত এ চা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই বললেই চলে। এর রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। তাই এ চা সম্পর্কে ধারণা দিতেই আজকের লেখা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন-
Advertisement
পরিচিতি: এটি সবেচেয়ে বেশি পরিচিত ‘নীল চা’ বা ‘ব্লু টি’ নামে। এটি ক্যাফেইনমুক্ত হারবাল চা। উদ্ভিদ থেকে তৈরী করা হয় বলে একে হারবাল চা বলা হয়।
তৈরির পদ্ধতি: এটি তৈরি করা হয় ইনফিউশন বা ডিকোটেশন পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি বা সম্পূর্ণ গাছ পানিতে ভিজিয়ে নির্যাস বের করে নেওয়া হয়। এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো অম্লত্ব বা ক্ষারত্বের ওপর ভিত্তি করে রং বদলায়। যদি এতে লেবুর রস যোগ করেন, তাহলে এটি বেগুনি রং ধারন করবে।
উপাদান: এ চা সাধারণত ঠান্ডা অথবা গরম অবস্থায় পরিবেশন করা হয়। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যালস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো- পলিফেনল, ফ্লাভোনোয়িডস, স্যাপোনিন, ট্যানিন, অ্যান্থোসায়ানিন, অ্যালকালোয়িডস, টারনাটিনস, ইনোসিটল ও পেন্টান্যাল ইত্যাদি।
Advertisement
ওষুধি গুণ: এতে প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। তাই এর ওষুধি গুণাগুণও অনেক। এবার এর ওষুধি গুণ সম্পর্কে জেনে নেই-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লিভার সুরক্ষা: নীল চায়ের পলিফেনল ও ফ্লাভোনোয়েড যৌগ লিভার এনজাইমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে লিভারের সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যাজমা প্রতিরোধ: এতে উপস্থিত স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনোয়িড যৌগ অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
Advertisement
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: এটি স্মৃতিশক্তিবর্ধক হিসেবে অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: এতে আছে অ্যান্থোসায়ানিন, যা আমাদের দেহে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরিতে বাধা দেয়। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডস, কোলেস্টেরল ও এলডিএলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
এসইউ/জেআইএম