একটি শিশুর জন্ম মানে মা-বাবারও জন্ম। কারণ শিশুটির জন্মের মাধ্যমেই তারা মা-বাবা হয়ে ওঠেন। নবজাতকের যত্ন নিতে হয় বিশেষভাবে। কারণ পৃথিবীর আলো-বাতাসে খাপ খাইয়ে নিতে তার সময় লেগে যায়। এই সময়টা তাই সব মা-বাবাকেই একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়।
Advertisement
নবজাতকের যত্নের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো তাকে গোসল করানো। নানি-দাদিরা হয়তো অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই সামলে নিতে পারেন কিন্তু সদ্য মা-বাবা হয়েছেন এমন মানুষের জন্য এটি কঠিনই বটে। নবজাতককে গোসল করাতে গিয়ে তখন হিমশিম খেতে হয়।
এই কঠিন কাজটা সহজ করতে আপনাকে মেনে চলতে হবে কিছু উপায়। এই বিষয়গুলো মেনে চললে আপনার আদরের সোনামনিকে গোসল করানো বেশ সহজ হয়ে যাবে-
সদ্যোজাত শিশুর ত্বক খুবই সংবেনশীল হয়, তাই শিশুকে কখনোই সপ্তারে ২-৩ দিনের বেশি গোসল করাবেন না। সদ্যোজাত শিশুর প্রতিদিন গোসল করার কোনো দরকার পড়ে না। নাড়ি ঝরে পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত স্পঞ্জ বাথ দিলেই হবে।
Advertisement
শিশুকে কোনো সমান উষ্ণ জায়গায় শুইয়ে নিন। তারপর ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে সারা গা মুছে নিন। যখন যে অংশটা মোছাবেন, সেটাই শুধু খুলে নিন। নাহলে ঠান্ডা গেলে যেতে পারে।
স্পঞ্জ একদম কনকনে ঠান্ডা বা বেশি গরম পানিতে ভেজাতে যাবেন না যেন। বরং হালকা গরম পানিতে পাতলা কাপড় বা স্পঞ্জ ভিজিয়ে সারা গা মোছাবেন।
বেশি সময় ধরে শিশুকে গোসল করালে তার ঠান্ডাসহ আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শিশুকে কখনোই ৫-১০ মিনিটের বেশি গোসল করাবেন না। প্রথমে মুখ, তারপর শরীরের অন্য অংশে পানি দিন।
শিশুদের ত্বক আমাদের মতো নয়। নবজাতকের ত্বক তো আরও বেশি কোমল। আর সাবানে যে ক্ষারীয় উপাদান অনেক বেশি থাকে, সেকথা তো সবাই জানে। তাই সদ্যোজাত শিশুর শরীরে সাবান নয়, হালকা বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। এতে শিশুর ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি ভালো থাকবে।
Advertisement
নবজাতককে গোসল করানোর আগে অবশ্যই পানির তাপমাত্রা নিজে হাত দিয়ে দেখে নিন। বেশি গরম বা ঠান্ডা পানিতে কখনোই শিশুকে গোসল করানো উচিত নয়।
এইচএন/এমকেএইচ