গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নদীবেষ্টিত এলাকার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ১৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বন্যাকবলিত ১৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেন।
Advertisement
শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, বন্যার কারণে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠেছে। বিদ্যালয়গুলো পানিবন্দি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানোর পরিবেশ নেই। বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গিয়ে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব কারণে বন্যাকবলিত ১৪৫টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বনার সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো আব্দুল মতিন বলেন, গাইবান্ধার চারটি উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্যাকবলিত চার উপজেলায় ২৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ দুই লাখ টাকা, দুই হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Advertisement
জাহিদ খন্দকার/এএম/এমকেএইচ