ভারতীয় টেলিভিশনের গানের প্রতিযোগিতা ‘সারেগামাপা’য় একের পর এক গান গেয়ে আলোচনায় এসেছেন। এই মঞ্চে গান গেয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে প্রচুর ভক্ত তৈরি হয়েছে তার। এ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনে আছে দুই বাংলার সুপারহিট কিছু গান। তিনি বাংলাদেশের প্রতিযোগী নোবেল। ভক্তদের কাছে তিনি নোবেলম্যন নামে পরিচিত।
Advertisement
জনপ্রিয় গানগুলো নতুুন আয়োজনে নোবেল উপস্থাপন করেছেন ‘সারেগামাপা'র মঞ্চে। নোবেল প্রশংসা পেয়েছিলেন প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে জেমস’র গাওয়া ‘বাবা’ গানটি কাভার করে।
কিন্তু গানটি গাওয়ার সময় প্রিন্স মাহমুদের নাম বলেননি নোবেল। এ কারণে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর অবশ্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন।
পরিতাপের বিষয়, এর পরও নিজেকে শুধরে নেননি নোবেল। একই ভুল করে চলছেন। ‘সারেগামাপা'তে প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরের তিনটি গান গেয়েছেন। ‘বাবা’, ‘মা’ এবং ‘এত কষ্ট কেন ভালবাসায়’। তিনবারের একবারও গীতিকার বা সুরকার হিসেবে প্রিন্স মাহমুদের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি।
Advertisement
‘এত কষ্ট কেন ভালবাসায়’ গানটি গাওয়ার সময় গানটিকে আর্ক ব্যান্ডের গান বলেও উল্লেখ করেন, যা ভুল তথ্য। বিষয়টি প্রিন্স মাহমুদের নজরে আসার পরে একটি স্ট্যাটাসে প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, “দুঃখিত, এতো কষ্ট কেন ভালবাসায় আর্ক ব্যান্ডের গান না। এটা ১৯৯৮ সালে রিলিজ হওয়া আমার কথা ও সুরে মিক্সড অ্যালবাম ‘শেষ দেখা’তে হাসান গেয়েছিল।”
প্রিন্স মাহমুদের এই স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছেন সংগীতাঙ্গনের অনেকেই। এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে গাইতে গিয়ে বারবার একই ভুল করায় নোবেলের কঠোর সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। কেউ বলছেন তার এই ভুল ইচ্ছাকৃত। নোবেলকে ধূর্ত বলেও সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ।
এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘অন্য কারো গান কাভার করার সময় সেই গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর নাম-সঠিকভাবে বলা উচিত। এই চর্চাটা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। শিল্পীদের নাম বললেও অধিকাংশ শিল্পীই গান কাভার করার সময় গীতিকার ও সুরকারের নাম উল্লেখ করেন না। এটা ঠিক নয়। নোবেলকে শুধরানো উচিত, তার পাশাপাশি আরও যারা এমনটা করেন তাদেরও শুধরানো উচিত।’
এমএবি/এলএ/জেআইএম
Advertisement