চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পিএইচডি গবেষণারত জামায়াত নেতা এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সেমিনার আয়োজনের সুযোগ করে দেয়ায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তিন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।
Advertisement
লুকোচুরি করে গত ২০ জুন এ সেমিনার আয়োজন ও অনিয়মের ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য ও ফটোগ্রাফি) দিবাকর বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শোকজ করা তিন শিক্ষক হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, পিএইচডির সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. এ এফ এম আমীনুল হক ও সেমিনার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন কাদেরী। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
অন্যদিকে তদন্তে কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন (উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা)। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে জড়িয়ে একটি অনলাইন পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত করার ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দূরভিসন্ধীমূলক বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ২০ জুন বিভাগের সেমিনার কক্ষে গোপনীয়তার মাধ্যমে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদের পিএইচডি সেমিনার আয়োজন করা হয়। এর দুইদিন আগে ১৮ জুন তড়িঘড়ি করে নোটিশ দেয়া হয়। অথচ পিএইচডির সেমিনার ব্যাপক প্রচার করে আয়োজনের রেওয়াজ আছে। এছাড়া গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পিএইচডি গবেষণার রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হলেও বিশেষ সুবিধা দিয়ে জামায়াতের এই নেতাকে সেমিনার করার সুযোগ দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে চারদিকে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।
Advertisement
জামায়াত নেতা আযাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আবদুল্লাহ রাকীব/এমবিআর/এমএস