দেশের সব মহাসড়কে রিকশা, ভ্যানসহ সব গ্রামীণ যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা ধীরগতির লেন নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
সেই সঙ্গে দেশের জাতীয়, জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সব সড়ক পর্যায়ক্রমে প্রশস্ত ও পুরু করা এবং পুরনো সরু সেতু ভেঙে নতুন করে করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং অর্থনৈতিক প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব সড়ক পর্যায়ক্রমে প্রশস্ত করতে হবে। জাতীয়গুলো হবে, আঞ্চলিকগুলো হবে, জেলাগুলোও হবে। প্রতিটি মান অনুযায়ী প্রশস্ত হবে। প্রতিটি সড়ক আগের তুলনায় পুরু হবে, যাতে লোড বহন করতে পারে সড়কগুলো।’
Advertisement
এম এ মান্নান বলেন, ‘মহাসড়কে স্লো মুভিং ভেহিকেল (রিকশা, ঠেলাগাড়ি) যাতে নিরাপদে চলতে পারে, তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। খালি দ্রুতগতির গাড়ি চলে যাবে ধুলা উড়িয়ে, মানুষ মেরে– তা সম্ভব নয়। ঠেলাগাড়ি, রিকশা, ভ্যানগাড়ি যেন সব সড়কে পুরো নিরাপত্তার সঙ্গে চলতে পারে। এটা প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ নির্দেশনা।’
মহাসড়কে আলাদা লেন করা হবে কি না জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আলাদা স্বল্পগতির লেন করা হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে বিশ্রামাগারও থাকতে হবে।’
‘আগের সরু সেতুগুলো ভেঙে বড় করব। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে অনেক জায়গায়’ -যোগ করেন এম এ মান্নান।
মানসম্পন্ন কাজের জন্য নজরদারিও বাড়ানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Advertisement
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সব সড়কই একসঙ্গে পারব না। তবে কাজ শুরু হলো। সব সড়ক পর্যায়ক্রমে পুরু ও প্রশস্ত করা হবে।’
একনেক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পিডি/জেডএ/পিআর