বান্দরবানের কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়া এলাকায় সড়কে পানি ওঠায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু দাশ।
তিনি আরও জানান, বাজালিয়া এলাকার সড়কে এখন হাঁটুপানি। তাই ওই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের চিম্বুক সড়কের ৯ মাইল এলাকায় পাহাড় ধসের কারণে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) প্রবল বর্ষণের সময় ওই এলাকায় সড়কের ওপর একটি বিশাল পাহাড় ধসে পড়লে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
Advertisement
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, পাহাড়ে ভারী বর্ষণের কারণে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য জেলা- উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে এবং খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র।
এছাড়া বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন ২৫ জন পর্যটক।
থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল জানান, পাহাড়ে ভারী বর্ষণ শুরু হওয়ার আগে পর্যটকদের তিনটি দলের মোট ২৫ জন তিন্দু, রেমাক্রি, নাফাখুম হয়ে আরও দুর্গম এলাকায় বেড়াতে যান। পরে ভারী বর্ষণে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধিতে নৌকা চলাচল না করায় ওই পর্যটকরা থানচি উপজেলা সদরে আসতে পারেননি। ওসব জায়গায় কোনো ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আটকা পড়া পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
সৈকত দাশ/এফএ/এমকেএইচ
Advertisement