গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকে দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল চলছে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে। হরতালের সমর্থনে ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বেশকিছু এলাকায় মিছিল ও বিক্ষোভ হয়েছে।
Advertisement
এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পল্টনে মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মিছিলটি বিজয় নগর মোড়ে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে গুলিস্তানের দিকে যায়। এসময় পুলিশ জলকামান ও প্রিজন ভ্যান নিয়ে পল্টন মোড়ে অবস্থান নেয়।
বাম নেতারা জানান, হরতালের সমর্থনে আয়োজিত মিছিলে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।
মিছিলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাবেক সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে জনগণ। পুলিশ দিয়ে হামলা করে হরতাল ঠেকানো যাবে না।’
Advertisement
মিছিলে অংশ নেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, সিপিবির রুহুল হোসেন প্রিন্সসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
এদিকে প্রায় একইসময়ে পুরানা পল্টন মোড়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বাধা দেন সিপিবি নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে শাহবাগ মোড়ে সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। রোববার সকাল ৭টার দিকে টিএসসি থেকে একটি মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি শাহবাগ থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত যায়। পরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে ফিরে আসে।
শাহবাগে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় বসে যায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এতে টিএসসি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কারওয়ানবাজার, মৎস্য ভবন রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা এসব রোডে এমনকি মোটরসাইকেল ও রিকশাও চলাচল করতে দিচ্ছে না। পতাকাবাহী সরকারি একটি গাড়িও আটকে দিয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। শুধু মাত্র অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দিচ্ছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি এ হরতালে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে।
এদিকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছে গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ ন্যাপ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং ক্ষেতমজুর সমিতি।
এসএইচএস/জেআইএম