ছোট্ট গোলগাল নিরীহ চেহারার ফলটির নাম লটকন। হলুদ রঙের এই টক-মিষ্টি স্বাদের ফলটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। তবে যে নামেই ডাকা হোক, ছোট্ট এই ফলটি কিন্তু বেশ উপকারী। এখন চলছে লটকনের মৌসুম। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লটকন রাখতে পারেন।
Advertisement
লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি'। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্রোমিয়াম থাকে। পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।
প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। লটকনে ভিটামিন ‘সি' আছে প্রচুর। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি'র চাহিদা পূরণ হওয়া।
ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। লটকনে ভিটামিন সি বেশি থাকায় দিনে দুতিনটি লটকন ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ করতে পারে। রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মি.গ্রা আয়রন থাকে।
Advertisement
লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল।
লটকনে কিছু পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ১.৪২ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৪৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।
লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে লটকন খান।
Advertisement
উপকারী এবং পছন্দ করেন বলেই লটকন একবারে বেশি করে খেতে যাবেন না যেন! তাতে ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
এইচএন/এমকেএইচ