দেশজুড়ে

খোঁজ মেলেনি মহর আলীর কাটা মাথা ও দুই পায়ের

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেড়াবুচনা বউ বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী মহর আলী হত্যাকাণ্ডের একমাস অতিবাহিত হলেও কোনো অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আজও উদ্ধার হয়নি মহর আলীর মাথা ও দুই পা। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পিবিআইকে।

Advertisement

জানা যায়, বেড়াবুচনা বউ বাজার এলাকার মৃত জামাল হোসেন বেপারীর ছেলে মহর আলী বউ বাজারে ফাহিম নামে একটি ফার্নিচারের দোকানের মালিক ছিলেন। গত ২ জুন বিকেলে মহর আলী তার ফার্নিচারের দোকান থেকে বের হয়ে যান। পরে শহরের একটি সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় একটি বাসার সামনে রিকশা থেকে নামছেন তিনি। তারপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন ৩ জুন সকালে একটি ব্রিফকেসে মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন একটি দেহ পাওয়া যায়। খণ্ডিত দেহ এবং পরিহিত টি-শার্ট দেখে দেহটি মহর আলীর বলে শনাক্ত করেন তার আত্মীয়-স্বজনরা।

এ ঘটনায় মহর আলীর ভাই ইশারত হোসেন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর টাঙ্গাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু সাদেক মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। নিহত মহর আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কয়েকজন গৃহবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও একজন ব্যতীত অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে পুলিশি তদন্তে মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বর্তমানে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই ইশারত জানান, তার ভাই নিহত হওয়ার একমাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো আসামি ধরা পড়েনি। এতে তারা খুবই মর্মাহত।

Advertisement

জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা জানান, মহর আলী আমাদের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য। মহর আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবি জানাই। তা না হলে মৎস্য ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান জানান, মহর আলী হত্যা মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই। আমরা তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়বে।

মামলার তদন্তভার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মাত্র কয়েকদিন হলো আমরা এই মামলার তদন্ত শুরু করেছি। তবে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমাদের হাতে ভালো একটা ফলাফল আসবে।

আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/জেআইএম

Advertisement