দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজারও ব্যস্ততার মধ্যেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের খোঁজখবর রাখেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সম্প্রতি শেফালী রানী শীলকে নিয়ে গণমাধ্যমে খবর দেখে তিনি তাৎক্ষণিক সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাকে সহায়তার জন্য শেফালী রানীর বাড়িতে এসেছি।
Advertisement
আরও পড়ুন > সেই নারী নরসুন্দরকে জমি কিনে দিতে চান প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর
মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা দোগনা বাজারে নরসুন্দর শেফালী রানী শীলকে ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসিন, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান উজির, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন ও নরসুন্দর শেফালী রানী শীল।
Advertisement
আরও পড়ুন > নরসুন্দর শেফালী
প্রধান অতিথি আরও বলেন, হার না মানা নারী শেফালী রানীকে সহায়তা দেয়া তার জীবন মান উন্নত করার নামই ডিজিটাল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। শেফালী রানীর পাঁচ ছেলে-মেয়ে থাকায় দুই কক্ষের পরিবর্তে তিন কক্ষের ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সময় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, রাস্তা কালভার্ট নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হবে। কাঁঠালিয়ার বিষখালী নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ওইসব মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার পাঠানোরও আশ্বাস দেন।
প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের আগে দোগনা বাজার থেকে হেঁটে শেফালী রানীর বাড়ি যান। সেখানে তাকে ঘর নির্মাণের জন্য ৪ শতাংশ জমির কাগজপত্র ও ঘর নির্মাণের অর্থ প্রদান করেন। আগামী দুই মাসের মধ্যেই সেই ঘরটি বসবাসের উপযোগী হবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
আতিকুর রহমান/এমএএস/জেআইএম