দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিম’-এর পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ প্রতিবেদন জমা দেন।
Advertisement
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে দুদক কমিশনার বলেন, দুদক ২০১৭ সালে দেশের ২৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদফতর বা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধানের পদ্ধতিগত ত্রুটি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব এবং জনবল সংকটের কারণে যে সকল দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয় তার উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধে বা প্রতিরোধে পৃথক পৃথক ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কমিশন ১২টি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি ১৩তম প্রতিবেদন।
দুদক কমিশনার আরও বলেন, এ প্রতিবেদনে দুর্নীতির ১০টি উৎস চিহ্নিত করে তা নিরসনে ১৫টি সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন কোনো বিশেষজ্ঞ মতামত সংবলিত প্রতিবেদন নয়, তবে এটি কমিশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিমের প্রতিবেদন। টিম বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি অ্যানালাইসিস করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
Advertisement
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, দুদকের নজরদারি কেবল রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নয়, দেশের সর্বত্রই দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনে দুদকের নজরদারি রয়েছে।
দুর্নীতির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শূন্য সহনশীলতার নীতি উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, কমিশন দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। দেশের বিকাশমান অর্থনৈতিক গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই।
এমইউ/আরএস/জেআইএম
Advertisement