আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের যুদ্ধাপরাধীর সন্তানদের আওয়ামী লীগ করার বিষয়ে দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এমন দৈন্যদশা হয়নি যে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে পরিচালিত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানের রক্তে বেইমানি আছে, এদের দলে নিলে যেকোনো সময় এরা বেইমানি করবে। এদেরকে দলে আশ্রয় দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
Advertisement
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ ও সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, কূটনীতিক ও সাবেক সচিব আতিকুর রহমান, সাংসদ অ্যারোমা দত্ত, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, রামেন্দু মজুমদার, উত্তম বড়ুয়া, ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সন্তাদের আমরা আওয়ামী লীগ করতে দিতে পারি না। এদেরকে দলে আশ্রয় দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এরা এখন কোনো উপায় না পেয়ে ঘাপটি মেরে আছে। যেকোন সময় সুযোগ পেলে এরা আমাদের চরম ক্ষতি করবে। সুতরাং ওদের দলে নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ আছে সেই আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিশ্ব জয় করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেব। আমরাই পারব বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে। তাই এই আওয়ামী লীগে আর কারো প্রয়োজন নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার আল বদর, আল শামসদের আশ্রয়দাতা জিয়াউর রহমান এবং আরেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ বাংলাদেশের চরম ক্ষতি করেছে। এরা আওয়ামী লীগের আদর্শের কিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষকে দাঁড় করিয়েছে। এই কুলাঙ্গারদের যেন বাংলার মাটি থেকে সরানো হয়।’ এফএইচএস/এসআর/এমএস