আন্তর্জাতিক

আগুনে গরমের পর ইউরোপের কিছু অংশে স্বস্তি

প্রায় এক সপ্তাহ পর আজ রোববার ইউরোপের তীব্র দাবদাহ কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে ইউরোপের ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও স্পেনের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ডকে টপকে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া দাবদাহ কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে।

Advertisement

ফ্রান্সের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়ার পর যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল তা তুলে নেয়া হয়েছে। দেশটির তাপমাত্রা আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে আরও দুই ডিগ্রি বেড়ে যায়। গতকাল সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ইতালি স্পেন এবং মধ্য ইউরোপের কিছু দেশ ভয়াবহ এই দাবদাহের কবলে পড়ে।

ফ্রান্সে টানা ছয় দিনের ভয়াবহ গরমে দেশটিতে দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। দেশটির সরকার জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের এই দাবদাহে সেখানে চার জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ইতালিতে দুজন এবং স্পেনেও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী একজন শ্রমিক এবং ৩৩ ও ৭২ বছর বয়সী দুজন গৃহহীন মানুষও রয়েছেন।

আরও পড়ুন>> গোটা ইউরোপে তীব্র দাবদাহ, স্পেনে দাবানল

Advertisement

রোববার থেকে ফ্রান্স ও স্পেনে তাপমাত্রা কমতে শুরু করলেও জার্মানিতে এখনো বেড়েই চলেছে। দেশটির তাপমাত্রা এখন ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। তবে জার্মানির আবহাওয়া সংস্থা বলছে, আগামীকাল সোমবার থেকে জার্মানির কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে পারে।

গত শনিবার রাতে স্পেনে দমকল বাহিনীর কর্মীরা তীব্র দাবদাহ থেকে সৃষ্ট দাবানল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। তীব্র গতির বাতাসের সঙ্গে সেই দাবানল আশপাশের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছিল। তার আগের তিনদিন দেশটিতে যে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল তা ভয়াবহ রুপ ধারণ করে।স্পেনের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় শহর আলমোরক্সেতে গত শুক্রবার সেই দাবানলের সূত্রপাত। দাবানলটির কবলে পড়ে ওই অঞ্চলের অন্তত ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। এ ছাড়া সেই দাবানল মাদ্রিদের দিকেও অগ্রসর হচ্ছিল। একটি গ্রামের মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় গার্দ বিভাগেরও প্রায় ৬০০ হেক্টর এলাকা এবং কয়েক ডজন বাড়িঘর আগুনে পুড়ে গেছে। ওই অঞ্চলটিতেও ফ্রান্সের আগের রেকর্ড ভেঙ্গে ৪৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখা দেয় গত শুক্রবার।

শুক্রবার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেলে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা ‘মিতিও ফ্রান্স’ প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত হিসেবে রেড অ্যালার্ট জারি করে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তীব্র এই গরমে তাদের অনেক শস্য পুড়ে গেছে।

Advertisement

এসএ/এমএস