গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন এক সপ্তাহের ব্যবধানে আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। বাজার মূলধনের পাশাপাশি বাজারটির সবকটি মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৫৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনের অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১৫৯টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৭২টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৭৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
Advertisement
অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫৯৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৪৭৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
Advertisement
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৩ দশমিক ৯১ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৯ দশমিক ১১ শতাংশ ‘বি’, ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ‘এন’ এবং দশমিক ৭১ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৫৯ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ফরচুন সুজ, জিনেক্স ইনফোসিস, ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু সিরামিক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স।
এমএএস/এসআর/এমকেএইচ