খেলাধুলা

পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেই খুশি আফগানিস্তান

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হাশমতউল্লাহ শহীদি বলেছিলেন, আফগানিস্তান যদি তাদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি আনতে পারে তবে বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারানোর মতো সামর্থ্যও তাদের আছে। কিন্তু এক ব্যাটিং দিয়ে আর কতদূর যাবে তারা? গতকাল (মঙ্গলবার) ম্যাচের প্রথমভাগে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাই যে গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য।

Advertisement

রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের নিয়ে রীতিমত ছেলে- খেলা করে এউইন মরগ্যান-জনি বেয়ারস্টো-জো রুটরা। দাঁড় করায় এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ৩৯৭ রানের সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৪৭ রানই করতে পারে আফগানরা। হারে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ১৫০ রানের ব্যবধানে।

হাশমতউল্লাহর মতো অবশ্য এতো উচ্চাভিলাষী নন আফগান অধিনায়ক গুলবদিন নাইব। গতকাল লোয়ার মিডল অর্ডার থেকে হঠাৎ করেই দলের হয়ে ওপেন করেন তিনি। খেলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। এতো বড় ব্যবধানে হেরেও দলপতির একমাত্র সন্তুষ্টির জায়গা ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারা।

ম্যাচ শেষে এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটার বলেন, 'প্রত্যেকটি বিভাগে উন্নতির জন্য আমরা কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছ এবং আমরা দিনে দিনে উন্নতি করছি। জয়ের লক্ষ্য বড় ছিল কিন্তু দলের প্রতি আমার বার্তা ছিল স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলা। জয় বা পরাজয় নিয়ে ভাবা নয়, পুরো ৫০ ওভার খেলা। তখন হয়তো আমাদের জেতার একটা সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আমরা পুরো ৫০ ওভারই ব্যাটিং করেছি। এটাই আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।'

Advertisement

স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের জন্যও স্তুতি ঝরে নাইবের কণ্ঠে। বিশেষ করে ইংলিশ দলপতি মরগ্যানের জন্য, 'তারা (ইংল্যান্ড) দুর্দান্ত খেলেছে। মরগ্যানের ইনিংস আমার দেখা অন্যতম সেরা। উইকেট দেখার পর আমাদের পরিকল্পনা আগের ৪ ম্যাচ থেকে ভিন্ন ছিল। স্পিনারদের জন্য সুবিধাজনক মনে হচ্ছিল। মুজিব খুব ভালো বোলিংও করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রশিদ খান খরুচে বোলিং করেছে। সে নিজের সেরাটা দিতে পারেনি। এ কারণেই ইংল্যান্ড প্রায় ৪০০ রান করে ফেলে। ম্যাচে আমরা অনেক ভালো কিছু করেছি কিন্তু মরগ্যানের ক্যাচও আমরা ফেলে দিয়েছি। আর এটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।'

এসএস/পিআর