সাকিব আল হাসানের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি, লিটন দাসের অনবদ্য ৯৪ রানের ইনিংস কিংবা মোস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারেই বিপদজনক দুই ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার ও আন্দ্রে রাসেলকে ফেরানো- গৌরবময় জয়ের পর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মূল কৃতিত্ব দিয়েছেন এ তিনটি বিষয়কেই।
Advertisement
তবু অন্য দুইজনের চেয়ে খানিক ব্যতিক্রম সাকিব। বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে তিনিই যে বাংলাদেশ দলকে দেখিয়েছেন জয়ের স্বপ্ন, তা পূরণ করেছেন নিজের হাতেই। খেলেছেন বিশ্বকাপে নিজের সেরা ইনিংস, ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে অপরাজিত ছিলেন ৯৯ বলে ১২৪ রানের ইনিংস খেলে।
সেই সাকিব মনে করছেন অসাধারণ এ জয়ের মূল অনুপ্রেরণাটা এসেছে মূলত ড্রেসিংরুম থেকে। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৩২১ রান করার পরেও, ড্রেসিংরুমে কেউই টেনশন করেননি। সবাই ধরে রেখেছিলেন এই ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশই।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘এ অসাধারণ জয়ের অনুপ্রেরণা এসেছে আসলে ড্রেসিংরুম থেকে। ৩২২ রানের টার্গেট দেখেও কেউ ভয় পায়নি। সবাই হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত ছিলো। কারও চোখেমুখে টেনশনের লেশমাত্র ছিলো না। বলতে পারেন সবাই কমফর্টেবল ছিল। বিশ্বাস ছিলো আমরা ভালো খেলতে পারে এ উইকেটে ৩২২ রান করা সম্ভব। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল।’
Advertisement
তবে এ জয়ের পর উচ্ছ্বাস ও উল্লাসে ভেসে যেতে চান না সাকিব। যা বোঝা গিয়েছে তার শরীরী ভাষাতেও। প্রায় ২০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে একবারও মনে হয়নি, কোনো অসাধ্য সাধনের পর তিনি এসেছেন সংবাদ সম্মেলনে। বরং অতি স্বাভাবিক এক ঘটনার পর যেমন হতো তার অভিব্যক্তি, তাই দেখা গেল টনটনের প্রেস কনফারেন্স হলে।
এসময় সাকিব স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপে আরও এগুতে চাইলে, এখানেই থামা যাবে না, আরও ভালো খেলতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, এটা আমার বেস্ট ব্যাটিং কি-না। তবে আমি খুব উপভোগ করছি। এ মুহূর্তে আমি দলকে অনেক সাহায্যও করতে পারছি। এ ধারাটা অব্যাহত রাখতে চাই। আমার নিজেরও ভালো খেলার তাড়া আছে এবং দলকেও আরও ভালো খেলতে হবে সামনে এগুতে হলে।’
এ মুহূর্তে বিশ্বকাপে দলের অবস্থান জানাতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘এখনও আমাদের চার ম্যাচ বাকি। আমি নিজে চেষ্টা করছি যত ভালো খেলা সম্ভব। দল হিসেবেও আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেনো ভালো খেলার ধারাটা অব্যাহত থাকে। ভালো না খেললে এগুনো যাবে না।’
এআরবি/এসএএস
Advertisement