ছোট মাঠ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আক্রমণাত্মক টপ ও মিডল অর্ডারের সঙ্গে বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার- সবকিছুই বিবেচনায় আছে। তা ভেবেচিন্তেই কাল (সোমবার) ১৭ জুন সোমবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে মাঠে নামবে মাশরাফির বাংলাদেশ।
Advertisement
সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেমন হবে বাংলাদেশ দল? কোন ১১ জন খেলবেন? আগের তিন ম্যাচ খেলা একাদশ থেকে কোন রদবদল ঘটবে? মাশরাফি, মোস্তাফিজ আর সাইফউদ্দিনের সঙ্গে রুবেলকে যোগ করে চার পেসার খেলানো হবে?
কোন স্পেশলিস্ট স্পিনার বা জেনুইন ব্যাটসম্যানকে কি বাদ দেয়া হবে? নানান কৌতূহলী প্রশ্ন আর রাজ্যের জল্পনাকল্পনা-গুঞ্জন। আজ (রোববার) প্র্যাকটিসেও দেখা গেল পেস বোলার রুবেল হোসেনকে নিয়ে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ আর হেড কোচ স্টিভ রোডস নিজে কাজ করলেন। নেটে অনেকটা সময় বোলিং করলেন পেসার রুবেল। তবে কি তাকে খেলানো হবে?
সাংবাদিকদের মাঝেও জাগলো প্রশ্ন। অধিনায়ক মাশরাফিকে প্রেস কনফারেন্সে সে প্রশ্ন করাও হলো। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক অবশ্য তা পাশ কাটিয়ে গেছেন। বলেছেন টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিবে।
Advertisement
এদিকে আগেই জানা কালকের ম্যাচের আগে ঢাকা থেকে এসেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তার মানে অধিনায়ক মাশরাফি, কোচ স্টিভ রোডস, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দল নির্বাচনে থাকছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও।
তারা সবাই মিলেই ঠিক করবেন, কোন ১১ জন খেলবেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ম্যাচটিতে। এদিকে আজ অনুশীলন দেখে বোঝার উপায় ছিল না আসলে কোন ১১ জন খেলবেন। তবে বিকেল গড়াতেই জানা গেছে এক তথ্য।
প্রথম তিন ম্যাচের দল থেকে একটি পরিবর্তন আসছে। থাকছেন না মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। তার কালকের ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। আজ বিকেলে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০ টার পরে) জাগোনিউজের সঙ্গে আলাপে প্রধান নির্বাচক নান্নু জানালেন, দল চূড়ান্ত হয়নি। মাঠে গিয়ে ঠিক করা হবে। তবে ১৩ জনের দল সাজানো হয়েছে। সেই ১৩ জনে নেই মিঠুন আর রাহী। তার মানে তাদের কোনো সম্ভাবনাই নেই।
তবে বাকি ১৩ জন থেকে কোন ১১ জন খেলবেন ম্যাচে? মিঠুনের জায়গায় কাকে খেলানো হবে? তা নিয়েই যত সংশয় আর দ্বিধা। একবার রুবেল হোসেনকে দলে নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে , পরক্ষণে চলে আসছে একজন ব্যাটসম্যান কমিয়ে না আবার বিপাকে পড়তে হয়।
Advertisement
সেক্ষেত্রে লিটন দাস আর সাব্বির রুহমান রুম্মনও আছেন বিবেচনায়। শেষ পর্যন্ত রুবেল ঢুকলে ঐ দুই ব্যাটসম্যান বাইরেই থাকবেন। আর বাড়তি মানে চার পেসার খেলানো না হলে লিটন আর সাব্বিরের যে কেউ অন্তর্ভুক্ত হবেন।
যেহেতু মুশফিকুর রহিমের কব্জির নিচে ব্যথা আছে, তাই রুবেল না খেললে লিটন দাসের সুযোগ ও সম্ভাবনা দুই-ই বেশি। মুশফিক হঠাৎ কিপিং করতে না পারলে তখন বিকল্প কিপার হিসেবে লিটন গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে পারবেন।
তবে এটা নির্ভর করছে রুবেলকে খেলানো হবে কি-না সে সিদ্ধান্তের ওপর? দুইজন স্পিনার আর তিন পেসারের সঙ্গে আরও এক পেসার নিয়ে মাঠে নামা মানে ছয় স্পেশালিস্ট বোলার। তা নিয়ে মাঠে নামার অর্থ ব্যাটিং শক্তি কমিয়ে ফেলা। তা কমানো নিয়েই যে রাজ্যের চিন্তাভাবনা। শেষ পর্যন্ত সাত-পাঁচ ভেবে আগের দল ঠিক রেখে মাঠে নামার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এআরবি/এসএএস