রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ এমপি হারুনের

দেশে ‘সুশাসন’ ফিরিয়ে আনতে সংসদ নেতা শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংলাপ আহ্বানের অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের মাননীয় সংসদ নেতা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সংলাপ আহ্বান জানিয়ে একটি আবহ তৈরি করবেন। রাজনীতিতে সুবাতাস ফিরিয়ে আনবেন।’

Advertisement

রোববার সংসদে ২০১৮-২০১৯ সালের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হারুন আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের বলা হচ্ছে যে, অবৈধ সংসদে কেন আসছেন। সংসদের বাইরে থাকলেই তো পারতেন। সংসদে ছয়জন প্রবেশ করার মধ্য দিয়ে কিন্তু এ সংসদের বৈধতা পাবে না। কারণ আমরা এ সংসদে প্রবেশ করেছি, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সংবিধানে আমাদের যে গণতান্ত্রিক স্পেস রয়েছে, সেই স্পেস এ সংসদে অনুপস্থিত। আজ আওয়ামী লীগ বলেন, মহাজোটই বলেন আপনারা ঢাকঢোল বাজিয়ে সভা-সমাবেশ করেন আর আমরা সভা-সমাবেশ করতে গেলেই নাশকতার প্রশ্ন তুলবেন, অনুমতি না দেয়ার প্রশ্ন তুলবেন, এটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেসব অর্জন করেছি, সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি কী করে আমরা ফিরিয়ে আনব, পুনরুদ্ধার করব, সেটিই হচ্ছে আজকে আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’ তিনি বলেন, ‘আজ এ সংসদে আমি লক্ষ্য করছি আপনাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) সামনে রেখে আপনার তোষামোদি করছে। তাদের বিষয়ে আপনি বেশি সতর্ক থাকবেন। আপনার জন্য মঙ্গল হবে। সুরা বনি ইসরাইলের মধ্যে আল্লাহ বলেছেন, আমার বান্দাদেরকে বলে দিন তারা যেন উত্তম কথা বলেন, শয়তান তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায়, নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।’

বিএনপির এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘সংবিধানের ২৬৭ বিধিতে সংসদ সদস্যদের পালনীয় বিধি দেয়া আছে। গতকাল বিএনপির একমাত্র সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা কিছু কথা বলেছেন। তিনি কথা বলার সময় অন্য সংসদ সদস্যরা তাকে কথা বলতে দেননি। ক্ষমতাসীন দলে ৪৪ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আছেন। আপনারা সবাই মিলে যদি হইচই করেন। আমরা এখানে কথা বলতে পারব না। এর মাধ্যমে মেসেজটা কী যাচ্ছে? এতে মেসেজ যাচ্ছে আপনারা আমাদের সংসদে কথা বলতে দিতে চান না। আমরা অবশ্যই ভালো কথা বলব, যুক্তি-তথ্য দিয়ে কথা বলব।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ৪৯ বছরের ইতিহাসে একটা নজির যদি দেখাতে পারেন, বাংলাদেশে যারা যাবজ্জীবন দণ্ডিত ব্যক্তি অথবা জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের আসামি, ফাঁসির আসামি। তারাও উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করতে কখনও দেখিনি। ওই জামিনের শুনানি হবে তিন মাস পরে। এখন বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বা নিম্ন আদালত কোনোটাই স্বাধীন নয়। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ আজ গায়েবি মামলার আসামি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, গায়েবি মামলা নেই। আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলব, আমি আজকে ২০টি মামলার আসামি। আমার এলাকার হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলার আসামি। রাত ২টায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। বলা হয় তারা নাকি নাশকতার কাজে যুক্ত ছিলেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আজ গোটা জাতি জর্জরিত।’

এইচএস/এনডিএস/পিআর