ক্যাম্পাস

চবির প্রকৌশলীকে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি রেজিস্ট্রারের ছেলের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানকে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমদের ছেলে মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মুজাহিদুল ইসলাম একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

Advertisement

হুমকির শিকার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানের দাবি, রোববার সকালে মুজাহিদুল ইসলাম তার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি দেন।

এদিকে রোববার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরে অবস্থিত ওই প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে তালা ঝোলানো ও নাম ফলক ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে৷

এ ঘটনায়ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমদ ও তার ছেলে মুজাহিদ জড়িত বলে দাবি করেছেন প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।

Advertisement

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমদ ও তার ছেলে মুজাহিদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ নামধারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে কল করে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এসময় ১০-১২ জন বহিরাগত মিলে সকাল ১০টার দিকে আমার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় এবং নাম ফলক ভাঙচুর করে। বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে।

তিনি জানান, জাকের আহমদের দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে আমার ভূমিকা বেশি ছিল। পরে উদ্ধার করা জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজনকে বিভিন্নভাবে তার হামলার শিকার হতে হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় হাটহাজারী থানার মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়। এর আগেও বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাকের আহমদ বহিষ্কার হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি ও তার ছেলে মিলে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগের অস্বীকার করে চাকসু কেন্দ্রের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। যিনি এসব অভিযোগ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলছে। তিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান মৌখিকভাবে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। দুপুরের দিকে তার কক্ষ থেকে তালা অপসারণ করা হয়েছে।

Advertisement

আবদুল্লাহ রাকীব/এমবিআর/জেআইএম