প্রায় আড়াইশ’ বছর পর কারাবন্দীদের সকালের নাস্তার মেনুতে পরিবর্তন এনেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালের নাস্তায় নতুন মেনুতে থাকছে ভুনা খিচুড়ি, সবজি ও হালুয়া রুটি। একই সঙ্গে, স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
রোববার (১৬ জুন) সকালে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সকালের নাস্তার নতুন মেনুতে কারাবন্দীরা এখন সপ্তাহে দুদিন পাবেন ভুনা খিচুড়ি, চারদিন সবজি-রুটি, বাকি একদিন হালুয়া-রুটি।
এর আগে ব্রিটিশ আমল থেকে কারাগারে বন্দীরা সকালের নাস্তায় পেতেন ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেতেন ৮৭.৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)।
Advertisement
কারা সূত্র আরও জানায়, প্রিয়জন ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগে কারাবন্দিদের জন্য চালু করা হয়েছে প্রিজন লিঙ্ক ‘স্বজন’ সার্ভিস।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা কারাবন্দীদের সকালের নাস্তার মেনু আমরা আজ পরিবর্তন করেছি। এখন থেকে তারা সপ্তাহে দুদিন ভুনা খিচুড়ি, চারদিন সবজি-রুটি, বাকি একদিন হালুয়া-রুটি খেতে পারবেন।’
বন্দীরা যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারেন সেজন্য প্রিজন লিংক ‘স্বজন’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে কারাবন্দীরা তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলে এ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ সার্ভিস চালু করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বন্দীরা কারাগারে থেকে মানসিক প্রশান্তি পেলে তাদের অপরাধ প্রবণতা কমবে। কারাবন্দীরা মুক্তির পর যাতে পুনরায় অপরাধে না জড়ান এবং সংশোধনের সুযোগ পান সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
Advertisement
জেইউ/এসআর/আরআইপি