ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নিয়ম অনুযায়ী, একজন নেতা সরকার বা দলের একটি পদেই থাকতে পারবেন। বিজেপির এই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নিয়ম অনুযায়ী তাহলে সরকারের মন্ত্রী পদ পাওয়ার পরে দলের সভাপতির পদটি অমিত শাহকে যত শিগগিরই সম্ভব ছেড়ে দেয়া উচিৎ। কিন্তু তিনি তা করছেন না।
Advertisement
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত বিজেপির সভাপতি পদে অমিত শাহ-ই থাকছেন। চলতি বছরের বিধানসভা ভোটও হবে তার নেতৃত্বে। লোকসভা নির্বাচনে দলকে তিনশ পার করানোর পরেও বিজেপি ‘শিখরে’ পৌঁছেছে বলে মানছেন না অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, বাংলাসহ সব রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরই শিখরে পৌঁছেছেন বলে মানবেন।
নরেন্দ্র মোদির সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, এবারে কি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে সরে গিয়ে অন্য কাউকে বসাবেন অমিত? উত্তরসূরি হিসেবে জগৎ প্রকাশ নাড্ডা থেকে ভূপেন্দ্র যাদবের মতো নামও ঘোরাফেরা করছিল।
পাঁচ বছর আগে মোদী যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন, তখন দলের সভাপতি ছিলেন রাজনাথ সিংহ। কিন্তু তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার দুই মাসের মধ্যে অমিত শাহ তার উত্তরসূরি হন। বিজেপির সূত্রের মতে, এবারও আগের মতো কিছু হলে এখনই তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত।
Advertisement
কিন্তু শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের ফাঁকে ভূপেন্দ্র যাদবের মতো অমিত-ঘনিষ্ঠ নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সেই মোতাবেক এবারের পদ্ধতিটি উল্টো হবে। সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শুরু হবে সভাপতি পদে থেকেই। সব রাজ্যে মন্ডল স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত নির্বাচন হবে। সেখানে পঞ্চাশ শতাংশ ভোট পূর্ণ হলে সর্বভারতীয় স্তরে নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। অর্থাৎ, এই প্রক্রিয়া হতে প্রায় মাস ছয় সময় লাগবে। এর মানে, চলতি বছরের শেষে দেশটির মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে ভোট হবে অমিত শাহের নেতৃত্বেই।
বিজেপির সদস্য আরও ২ কোটি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে আজ থেকে দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শুরু করলেন তিনি। তার জন্য দলের নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন। বিজেপির সদর দফতরে দিনভর বৈঠকে বাড়তি গুরুত্ব পায় বাংলা। সেই সঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রসঙ্গ ওঠে।
বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, লোকসভা নির্বাচনের জয়কে আমরা বিজেপির কোনো কর্মী যেন সর্বোচ্চ মনে না করি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপিকে সব বুথ মজবুত করতে হবে। যখন বাংলা, কেরল ও অন্য রাজ্যে বিজেপির সরকার হবে, তখনই আমাদের সর্বোচ্চ সময়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Advertisement
এমএসএইচ/এমএস