যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর হাতে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য স্বামী। তাতে ইন্ধন জোগাতেন শাশুড়ি, শ্যালিকা ও শ্যালক। তবে লোকলজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানাতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশ সদস্য ওই স্বামী।
Advertisement
মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মারুফ আহম্মেদ।নির্যাতনের শিকার স্বামী জিয়াদ খান বরিশাল আরআরএফ পুলিশে লাইন্সে কর্মরত।
মামলার আসামিরা হলেন- স্ত্রী জান্নাতুল নাইমা ইতি, শাশুড়ি জাহানারা বেগম, শ্যালিকা ফাতেমা মুক্তি ও শ্যালক মোহনা পঞ্চায়েত। জান্নাতুল নাইমা ইতি কাশীপুর ইউনিয়নের বিল্ববাড়ি গ্রামের নাছির পঞ্চায়েতের মেয়ে।
বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. জহিরুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে জান্নাতুল ও জিয়াদ খানের পরিচয় হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর জিয়াদকে জিম্মি করে বিয়ের কাবিন করে জান্নাতুল। এরপর আরআরএফ পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন সুলতান গাজীর বাসা ভাড়া নিয়ে তারা সেখানে বাস করতেন।
Advertisement
গত ১১ এপ্রিল স্ত্রী জান্নাতুল স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় জিয়াদ খানকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করেন জান্নাতুল। এরপর থেকে ডিউটি শেষে বাসায় ফিরলে স্বামীকে খাবার দিতেন না তিনি। স্বামীর সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলতেন না। লোকলজ্জার কারণে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করতেন স্বামী জিয়াদ খান।
অবশেষে বাসায় রাখা নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকাসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল নিয়ে জান্নাতুল তার বাবার বাড়িতে চলে যান। তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে ইন্ধন জোগান শাশুড়ি, শ্যালিকা ও শ্যালক। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন পুলিশ সদস্য জিয়াদ খান।
সাইফ আমীন/বিএ
Advertisement