গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নিজ মাওনা গ্রামের খুশিমনের ঘরে ছাউনির ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। এরই সঙ্গে একই এলাকার আট বছর বয়সী শিশু মিতুকেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমাতুজ জোহরা।
Advertisement
তিনি সোমবার বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে খুশিমন ও মিতুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এ আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলাসমাজসেবা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বৃদ্ধাবন্ধু ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মহিদুল আলম।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে একজন বৃদ্ধা ও শিশুর মানবেতর জীবন-যাপনের তথ্য পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়।
পরে খুশিমনের ঘরে ছাউনির জন্য প্রয়োজনীয় টিন ও অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি জানানো হয়, এছাড়াও খুশিমনের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করে একটি নলকূপের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
Advertisement
অপরদিকে একই এলাকার আট বছর বয়সী শিশু মিতুর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে শিশুর পায়ের বাঁধন খুলে তাকে মুক্ত করে দেয়া হয়। শিশু মিতুর জন্য একটি সরকারি সহায়তা কার্ড ও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থজীবনে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কালবৈশাখী ঝড়ে খুশিমনের থাকার ঘরের ছাউনি উড়ে যাওয়ায় পর থেকে রোদ-বৃষ্টিতে তাকে অন্যত্র স্থানে আশ্রয় নিতে হয়। পৃথিবীতে তার কোনো আপনজন বলতে কেউ নেই। গত ২৭ মে তাকে নিয়ে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজে ঝড়-বৃষ্টি হলেই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় খুশিমনকে শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এছাড়াও একই এলাকার শিশু মিতুর মা মারা যাওয়ার পর তার দায়িত্ব নেয়নি কোনো আপনজন। তবে তার বাবার দাদি তার দেখাশোনা করছিলেন। জন্মের ছয় মাস বয়স থেকেই শিশুটিকে খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছিল। মিতুর বয়স এখন আট বছর।
মিতুকে নিয়ে গত ৩ জুন জাগো নিউজে রশিতে বাঁধা মিতুর ভবিষ্যৎ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোচিতও হয়েছিল।
Advertisement
শিহাব খান/বিএ