জাতীয়

ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তিতে উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা

ঈদ উদযাপনের জন্য ঘরমুখো মানুষগুলো যেন ভোগান্তিকে নিয়তি মেনেই রাজধানী ছাড়ছেন। প্রতিদিনই রাস্তায় ভোগান্তির খবর আসছে। লঞ্চ, বাস ট্রেনে সকল যাত্রায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। সিডিউল বিপর্যয়, রাস্তায় জ্যাম, বাস ভাড়া বেশি এমন অভিযোগসহ নানা ভোগান্তিতে আছেন তারা।

Advertisement

ঈদ যাত্রার শুরু থেকেই কয়েকটি রুটে চরম সিডিউল বিপর্যয়ে ছিল ট্রেন। যা থেকে পরিত্রাণ মেলেনি মঙ্গলবারও। সিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা। এ ভোগান্তি চলছে তিন দিন যাবৎ। আর এ কারণে যাত্রীরা কমলাপুর প্লাটফর্মে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। সবমিলিয়ে যাত্রী ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।

আজও পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে তিন দিন ধরে ধারাবাহিক শিডিউল বিপর্যয়ে পড়া চিলাহাটিগামী সকালের নীলসাগর এক্সপ্রেস। ট্রেনটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছার কথা থাকলেও বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আসেনি।

সিডিউল অনুযায়ী নীলসাগর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন এই ট্রেন ছাড়বে দুপুর পৌনে ১টার পরে। এমন অবস্থায় বিপর্যয়ে পড়া ট্রেনগুলো ঈদের আগে আর নির্ধারিত শিডিউলে ফেরানো যাবে না বলেও জানিয়েছেন তারা।

Advertisement

এছাড়া লালমনিরহাটগামী ঈদ স্পেশাল লালমনি এক্সপ্রেস সকাল সোয়া ৯টায় কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রেনটি কমলাপুরে পৌঁছেনি। এ কারণে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয় ১টা ৫ মিনিট। কিন্তু সে সময় ট্রেনটি ছাড়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া রংপুরগামী ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে বেলা ১১টায় ৪০ মিনিটে কমলাপুর পৌঁছায়।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, উত্তরের ট্রেনে বিপর্যয় হলেও ভোর থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেটগামী ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে।

কমলাপুর প্ল্যাটফর্মে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়া ট্রেনের যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী সখিনা বেগম বলেন, ‘গত মাসে আমার ছোট ভাই ১২ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তিনটি টিকিট পেয়েছে। আমি, সে এবং মা আজ বাড়ি যাব। ট্রেনের শিডিউল অনুযায়ী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা। এখন ১২টার বেশি বাজে। এখনও ট্রেনের কোনো খবর নেই। সকাল ৬টা থেকে কমলাপুর স্টেশনে এসে আমরা বসে আছি।’

Advertisement

এদিকে আজ (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে গেছে। স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ‘নানা কারণে দুই-চারটি ট্রেন বিলম্ব হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গের ট্রেনে বিপর্যয়ের অন্যরকম তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তর বঙ্গের ট্রেনে বিপর্যয়ের কারণ যাত্রী বেশি, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন থামার পর যাত্রীদের ওঠা-নামার কারণে এই বিপত্তি হয়েছে।

তিনি জানান, সারাদিনে ৫০ হাজারেরও বেশি যাত্রী বিভিন্ন ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। ট্রেনের ছাদে যাত্রী ফেরা ঠেকাতে তারা তৎপর রয়েছেন।

এফএইচ/এমএমজেড/পিআর